এ সময় দু’হাত তুলে দুআ ক্বনূত পড়তে পারবে। কেননা সাধারণ ভাবে দুআ করার সময় দু’হাত উত্তোলন করা রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বিশুদ্ধভাবে প্রমাণিত হয়েছে।
সালমান ফারেসী (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন,
إِنَّ رَبَّكُمْ تَبَارَكَ وَتَعَالَى حَيِيٌّ كَرِيمٌ يَسْتَحْيِي مِنْ عَبْدِهِ إِذَا رَفَعَ يَدَيْهِ إِلَيْهِ أَنْ يَرُدَّهُمَا صِفْرًا
নিশ্চয় তোমাদের পালনকর্তা লজ্জাশীল সম্মানিত। কোন বান্দা তাঁর কাছে দু’হাত তুলে প্রার্থনা করলে তিনি উহা খালি ফিরিয়ে দিতে লজ্জাবোধ করেন।
ক্বনূত একটি দুআ, তাই এ অবস্থায় হাত তুলা উচিত। তাছাড়া হাত তুলে দুআ ক্বনূত পড়ার ব্যপারে সাহাবায়ে কেরাম থেকেও প্রমাণ পাওয়া যায়। ইবনে মাসউদ, উমর বিন খাত্তাব, ইবনে আব্বাস, আবু হুরায়রা (রাঃ) প্রমূখ সাহাবী দুআ ক্বনূত পড়ার সময়
বুক বরাবর দু’হাত তুলতেন। ইমাম আহমাদ, ইমাম ইসহাকও এরূপ করতেন।
আবু রাফে’ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,আমি উমার বিন খাত্তাব (রাঃ)এর পিছনে নামায পড়েছি। তিনি রুকূর পর ক্বনূত পড়েছেন। তখন হাত উঠিয়েছেন এবং দুআ জোরে জোরে পড়েছেন।
দুআ শেষে দুহাত মুখে মোছাঃ দুআ শেষ করার পর হাত দুটিকে মুখে মুছার ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ্ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে নির্ভরযোগ্য সূত্রে কোন হাদীছ প্রমাণিত হয়নি। তাই উহা না করাই শ্রেয়।
এ সম্পর্কে একটি হাদীছ বর্ণিত হয়েছেঃ
عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ رَضِي اللَّه عَنْه قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّه عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا رَفَعَ يَدَيْهِ فِي الدُّعَاءِ لَمْ يَحُطَّهُمَا حَتَّى يَمْسَحَ بِهِمَا وَجْهَهُ
উমার বিন খাত্তাব (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দু’হাত উঠিয়ে দুআ করলে, উহা মুখমন্ডলে না মুছে নীচে নামাতেন না।
কিন্তু এই হাদীছটি যঈফ।
ইমাম বায়হাক্বী বলেন, উত্তম হচ্ছে এরূপ না করা এবং সালাফে সালেহীন যা করেছেন তাকেই যথেষ্ট মনে করা। অর্থাৎ- শুধু হাত উঠিয়ে দুআ করা কিন্তু উহা মুখে না মুছা।’
0 Comments: