BDFile Telegram channel

৯ এপ্রি, ২০২৩

(১) আয়াতুল কুরসী একবার (ছহীহ আত-তারগীব ওয়াত তারহীব)। 

(২) সূরা ইখলাছ, ফালাক্ব ও না-স তিনবার করে (ছহীহ আবুদাউদ হা/৩২২; তিরমিযী হা/৫৬৭)। (৩) আব্দুল্লাহ ইবনু মাস‘ঊদ (রাঃ) বলেন, যখন সন্ধ্যা হ’ত তখন রাসুলুল্লাহ (ছাঃ) বলতেন, 


উচ্চারণ : আমসাইনা- ওয়া আম্সাল্ মুল্কু লিল্লা-হি ওয়াল-হ:ামদু লিল্লা-হি লাইলা-হা ইল্লাল্ল-হু ওয়াহ্:দাহু লা-শারীকা লাহু, লাহুল মুল্কু ওয়া লাহুল হামদু ওয়াহুয়া ‘আলা- কুলি− শাইয়িং ক্বদীর, আল্ল-হুম্মা ইন্নী আস্আলুকা মিন খায়রি হাযিহিল লাইলাতি ওযা খায়রি মা-ফীহা ওয়া আ‘ঊযুবিকা মিন র্শারিহা- ওয়া র্শারি মা- ফীহা-, আল্ল-হুম্মা ইন্নী আ‘ঊযুবিকা মিনাল কাসালি ওয়াল হারামি ওয়া সূইল কিবার, রব্বি ইন্নী আ‘ঊযুবিকা মিন ‘আযা-বিং ফিন্না-রি ওয়া ‘আযা-বিং ফিল ক্ববর। 

অর্থ : ‘আমরা এবং সমগ্র জগৎ আল্লাহর উদ্দেশ্যে সন্ধ্যায় প্রবেশ করলাম। সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য। তিনি ব্যতীত ইবাদতের যোগ্য কোন মা‘বূদ নেই। তিনি এক, তাঁর কোন শরীক নেই। রাজত্ব তাঁরই এবং প্রশংসা মাত্রই তাঁর। তিনি সকল বিষয়ে ক্ষমতাবান। হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট এ রাতের মঙ্গল চাই এবং এ রাতে যা আছে, তার মঙ্গল কামনা করি। আশ্রয় চাই এ রাতের অমঙ্গল হ’তে এবং এ রাতে যে অমঙ্গল রয়েছে তা হ’তে। হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট আশ্রয় চাই অলসতা, বার্ধক্য ও বার্ধক্যের অপকারিতা হ’তে। হে প্রভু! আশ্রয় চাই জাহান্নামের আযাব ও কবরের শাস্তি হ’তে’ (মুসলিম, মিশকাত হা/২৩৮১ ‘সকাল-সন্ধ্যায় ও নিদ্রা যাওয়ার সময় কি বলবে’ অনুচ্ছেদ)। 

(৪) শাদ্দাদ ইবনু আওস (রাঃ) বলেন, রাসুলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, শ্রেষ্ঠ ইস্তেগফার হ’ল : 


উচ্চারণ : আল্ল-হুম্মা আংতা রব্বী লা- ইলা-হা ইল্লা- আংতা খলাক্বতানী ওয়া আনা- ‘আব্দুকা ওয়া আনা- ‘আলা- ‘আহ্দিকা ওয়া ওয়া‘দিকা মাস্তাত্ব‘তু ওয়া আ‘ঊযুবিকা মিং র্শারি মা- স্বনা‘তু আবুউ লাকা বিনি‘মাতিকা ‘আলাইয়্যা ওয়া আবুউ বিযামবী ফার্গ্ফিলী ফাইন্নাহূ লা- ইয়াগ্ফির“য্ যুনূবা ইল্লা- আংতা। অর্থ : ‘হে আল্লাহ! তুমি আমার প্রতিপালক, তুমি ছাড়া ইবাদতের যোগ্য কোন উপাস্য নেই। তুমি আমাকে সৃষ্টি করেছ। আমি তোমার বান্দা। আমি আমার সাধ্যমত তোমার প্রতিশ্র“তিতে অঙ্গীকারাবদ্ধ রয়েছি। আমি আমার কৃতকর্মের অনিষ্ট হ’তে তোমার নিকট আশ্রয় চাই। আমার উপর তোমার অনুগ্রহকে স্বীকার করছি এবং আমার পাপও স্বীকার করছি। অতএব তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও। নিশ্চয়ই তুমি ব্যতীত কোন ক্ষমাকারী নেই’। রাসুলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি নিবিষ্ট মনে উক্ত দো‘আ দিবসে পাঠ করবে এবং সন্ধ্যার পূর্বে মারা যাবে, সে ব্যক্তি জান্নাতীদের অন্তভূক্ত হবে। আর যে ব্যক্তি ইয়াক্বীনের সাথে উক্ত দো‘আ রাতে পাঠ করবে এবং সকাল হওয়ার আগে মারা যাবে, সেও জান্নাতীদের অন্তভূক্ত হবে’ (বুখরী, মিশকাত হা/২৩৩৫ ‘তওবা ও ইস্তিগফার’ অনুচ্ছেদ)। 

(৫) ছাওবান (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি সকালে ও সন্ধ্যায় তিনবার করে নিম্নোক্ত দো‘আ পাঠ করবে, আল্লাহ ক্বিয়ামতের দিন তার উপর খুশী হয়ে যাবেন- 

উচ্চারণ : রয্বীতু বিল্লাহি রব্বাওঁ ওয়াবিল ইসলা-মি দ্বী-নাওঁ ওয়া বিমুহ:াম্মাদিন নাবিয়্যা। 

অর্থ : ‘আমি আল্লাহকে রব হিসাবে, ইসলামকে দ্বীন হিসাবে এবং মুহাম্মাদ (ছাঃ)- কে নবী হিসাবে পেয়ে খুশি হয়েছি’ (তিরমিযী, মিশকাত হা/২৩৯৯)। 

(৬) আব্দুর রহমান ইবনু আবু বাকরা (রাঃ) বলেন, আমি আমার আব্বাকে বললাম, আব্বা! আপনাকে প্রত্যেক সকালে ও বিকালে তিনবার করে বলতে শুনি- 

উচ্চারণ : আল্ল-হুম্মা ‘আ-ফিনী ফী বাদানী আল্ল-হুম্মা ‘আ-ফিনী ফী সাম‘ঈ আল্ল- হুম্মা ‘আ-ফিনী ফী বাস্বরী লা- ইলা-হা ইল্লা- আংতা। 

অর্থ : ‘হে আল্লাহ! তুমি আমার শরীরে নিরাপত্তা দান কর, আমার শ্রবণ ইন্দ্রিয়ে নিরাপত্তা দান কর এবং আমার দৃষ্টিশক্তিতে নিরাপত্তা দান কর।’ তখন তিনি বললেন, হে বৎস! আমি রাসূল (ছাঃ)-কে আলোচ্য বাক্যগুলি দ্বারা দো‘আ করতে শুনেছি। তাই আমি তাঁর নিয়ম পালন করতে ভালবাসি (ছহীহ আবুদাঊদ হা/৫০৯০, সনদ হাসান, মিশকাত হা/২৪১৩)। 

(৭) আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, একদা আবুবকর ছিদ্দীক্ব (রাঃ) বললেন, হে আল্লাহর রাসূল(ছাঃ)! আমাকে এমন একটি দো‘আর কথা বলুন, যা আমি সকালসন্ধ্যায় পাঠ করব। তখন রাসূল (ছাঃ) বললেন, তুমি বল, 


উচ্চারণ : আল্ল-হুম্মা ‘আ-লিমাল্ গইবি ওয়াশ্-শাহা-দাতি ফা-ত্বিরস্ সামা-ওয়া-তি ওয়াল র্আযি¦ রব্বা কুলি− শাইয়িং ওয়া মালীকিহ, আশ্হাদু আল্লা- ইলা-হা ইল্লাআংতা আ‘ঊযুবিকা মিং র্শারি নাফ্সী ওয়া মিং শাররিশ শায়ত্ব-নি ওয়া শিরকিহ। অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আল্লাহ, যিনি অদৃশ্য-দৃশ্য সকল বিষয় অবগত, আসমানযমীনের সৃষ্টিকর্তা, প্রত্যেক বস্তুর প্রতিপালক ও মালিক। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, তুমি ব্যতীত কোন মা‘বূদ নেই। আমি তোমার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করি আমার মনের অনিষ্ট হ’তে, শয়তানের অনিষ্ট ও তার শিরক হ’তে’। এ দো‘আটি সকালসন্ধ্যায় এবং শয্যায় যাওয়ার সময়ও বলবে (আবুদাঊদ, সনদ ছহীহ, ইবনু মাজাহ হা/৩৬৩২ মিশকাত হা/২৩৯০ ‘সকাল-সন্ধ্যায় কি বলবে’ অনুচ্ছেদ)। 

(৮) আবু হুরায়রা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল (ছাঃ) সকালে বলতেন, − 


উচ্চারণ : আল্ল-হুম্মা বিকা আস্ব্বাহ:না- ওয়া বিকা আম্সাইনা- ওয়া বিকা নাহ্:ইয়া- ওয়া বিকা নামূতু ওয়া ইলাইকাল মাস্বীর। 

অর্থ : ‘হে আল্লাহ! তোমার সাহায্যে আমরা সকালে উঠি, আবার তোমার সাহায্যে সন্ধ্যায় উপনীত হই। তোমার নামে আমরা বেঁচে থাকি, তোমার নামে মৃত্যুবরণ করি এবং তোমারই নিকট আমাদের প্রত্যাবর্তন’। সন্ধ্যায় বলতেন, 


উচ্চারণ : আল্ল-হুম্মা বিকা আম্সাইনা- ওয়া বিকা আস্ব্বাহ্:না- ওয়া বিকা নাহ:ইয়া- ওয়া বিকা নামূতু ওয়া ইলাইকান নুশূর। অর্থ : ‘হে আল্লাহ! তোমার সাহায্যে আমরা সকালে উঠি, আবার তোমার সাহায্যেই সন্ধ্যায় উপনীত হই। তোমার নামে আমরা বেঁচে থাকি এবং তোমার নামেই মৃত্যুবরণ করি। তোমার নিকট রয়েছে আমাদের পুনর“ত্থান’ (ছহীহ আবুদাঊদ, মিশকাত হা/২৩৮৯, সনদ ছহীহ, ইবনু মাজাহ হা/৩৮৬৮)। 

(৯) আবু আইয়াশ (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেন, যে ব্যক্তি সকাল-সন্ধ্যায় বলবে


উচ্চারণ : লা- ইলা-হা ইল্লাল্ল-হু ওয়াহ্:দাহূ লা- শারীকা লাহূ, লাহুল্ মুল্কু ওয়া লাহুল হামদু ওয়া হুয়া ‘আলা- কুলি− শাইয়িং ক্বদীর। অর্থ : ‘আল্লাহ ব্যতীত কোন উপাস্য নেই, তিনি এক, তাঁর কোন শরীক নেই। তাঁর হাতেই রয়েছে রাজত্ব। প্রশংসা একমাত্র তাঁরই। তিনি সকল বিষয়ের উপর ক্ষমতাবান’। এ আমল তার জন্য ইসমাঈল বংশীয় ১০জন দাসমুক্ত করার সমতুল্য গণ্য হবে এবং তার জন্য ১০টি নেকী লেখা হবে, ১০টি পাপ মোচন করা হবে এবং তার ১০টি মর্যাদা বৃদ্ধি করা হবে। সারা দিন শয়তান হ’তে নিরাপদ থাকবে (ছহীহ আবুদাঊদ, ইবনু মাজাহ, সনদ ছহীহ, মিশকাত হা/২৩৯৫)। 


(১০) আব্দুল্লাহ ইবনু যুবায়ের (রাঃ) বলেন, আমরা একদা রাসুলুল্লাহ (ছাঃ)-কে খুঁজার জন্য কঠিন অন্ধকারে মেঘাচ্ছন্ন রাতে বের হ’লাম। তিনি আমাদেরকে ছালাত আদায় করাবেন এ উদ্দেশ্যে। আমরা তাঁকে খুঁজে পেলে তিনি আমাদেরকে বললেন, তোমরা কি ছালাত আদায় করেছ? আমি কিছু বললাম না। এভাবে তিনবার জিজ্ঞাসার পর তিনি বললেন, বল। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল (ছাঃ)! আমি কি বলব? তিনি বললেন, সকাল-সন্ধ্যায় তিনবার করে সূরা ইখলাছ, সূরা ফালাক্ব ও সূরা নাস পড়। তোমার যে কোন সমস্যা দূর হবে (ছহীহ আবুদাঊদ, হা/৫০৮২; ছহীহ তিরমিযী হা/৩৮২৮; সনদ হাসান)। 

(১১) আবান ইবনু ওছমান (রাঃ) বলেন, আমি ওছমান ইবনু আফফান (রাঃ) থেকে শুনেছি, তিনি বলেন, আমি রাসূল (ছাঃ)-কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি সকালসন্ধ্যায় তিনবার করে বলবে, 

উচ্চারণ : বিস্মিল্লা-হিল্লাযী লা- ইয়ার্যুর“ মা‘আসমিহী শাইউং ফিল্ র্আযি ওয়া লা- ফিস্-সামা-ই ওয়া হুয়াস সামী‘উল ‘আলীম। অর্থ : ‘আমি ঐ আল্লাহর নামে আরম্ভ করছি, যার নামে আরম্ভ করলে আসমান ও যমীনের কোন বস্তুই কোনরূপ ¶তি সাধন করতে পারবে না। তাহ’লে কোন বালামুছীবত তাকে স্পর্শ করবে না’ (তিরমিযী, ছহীহ আবুদাঊদ, হা/৫০৮৮, সনদ ছহীহ, মিশকাত হা/২৩৯১)। 

(১২) আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসুলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি সকালে একশত বার এবং বিকালে একশত বার 

(সুবহানাল্লহিল আযীম ওয়া বিহামদিহ) ‘আমি উচ্চ মর্যাদাশীল আল্লাহর প্রশংসা সহকারে পবিত্রতা বর্ণনা করি’, তাহ’লে তাকে এমন মর্যাদা দেওয়া হবে, যে মর্যাদা সৃষ্টিকুলের মধ্যে আর কোন ব্যক্তিকে দেওয়া হবে না’ (তিরমিযী, ছহীহ আবুদাঊদ হা/৫০৯১; সনদ ছহীহ, মিশকাত হা/২৩০৪, ‘তাসবীহ ও তাহলীলের ফযীলত’ অনুচ্ছেদ)। 

(১৩) ইবনু ওমর (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) সকাল-সন্ধ্যায় উপনীত হ’লে নিম্নোক্ত বাক্যগুলি বলা ছাড়তেন না।


উচ্চারণ : আল্ল-হুম্মা ইন্নী আস্আলুকাল্ ‘আফ্ওয়া ওয়াল ‘আ-ফিইয়াতা ফিদ্ দুন্ইয়া- ওয়াল্ আ-খিরাহ, আল্ল-হুম্মা ইন্নী আস্আলুকাল ‘আফ্ওয়া ওয়াল ‘আফিইয়াতা ফী দ্বীনী ওয়া দুন্ইয়া-ইয়া ওয়া আহ্লী ওয়া মা-লী আল্ল-হুম্মাস্তুর ‘আওরা-তী ওয়া আ-মিন রাও‘আতী আল্ল-হুম্মাহ্:ফায:নী মিম্ বায়নি ইয়াদায়্যা ওয়া মিন খলফী ওয়া ‘আইঁ ইয়ামীনী ওয়া ‘আং শিমা-লী ওয়া মিংফাওক্বী ওয়া আ‘ঊযু বি‘আয্:মাতিকা আন উগতা-লা মিন তাহ্:তী। অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আমি তোমার দুনিয়া ও আখেরাতের নিরাপত্তা চাই। হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট আমার দ্বীন, দুনিয়া, পরিবার ও সম্পদের নিরাপত্তা চাই। হে আল্লাহ! তুমি আমার দোষ সমূহ ঢেকে রাখ এবং ভীতিপ্রদ বিষয়সমূহ থেকে আমাকে নিরাপদে রাখ। হে আল্লাহ! তুমি আমাকে হেফাযত কর আমার সম্মুখ হ’তে, ডানদিক হ’তে, বাম দিক হ’তে এবং আমার উপর দিক হ’তে। হে আল্লাহ! আমি তোমার মর্যাদার নিকট আশ্রয় চাই মাটিতে ধ্বসে যাওয়া হ’তে’ (আবুদাঊদ, মিশকাত হা/২৩৯৭; ছহীহ ইবনু মাজাহ হা/৩১৩৫, সনদ ছহীহ)। 

(১৪) সাতবার বলতে হবে- 

উচ্চারণ : হ:াসবিয়াল্ল-হু লা- ইলা-হা ইল্লা- হুওয়া ‘আলাইহি তাওয়াক্কাল্তু ওয়াহুয়া রব্বুল ‘আরশিল্ ‘আযীম। 

অর্থ : ‘আল্লাহ আমার জন্য যথেষ্ট। তিনি ব্যতীত প্রকৃত কোন উপাস্য নেই। তাঁর প্রতিই আমি ভরসা রাখি। আর তিনি মহান আরশের প্রতিপালক’ (আবুদউদ, ৪/৩২১ পৃঃ)। 

(১৫) আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) বলেন, রাসুল (ছাঃ) ফাতিমা (রাঃ)-কে উপদেশ দিয়ে বললেন, তুমি সকাল-সন্ধ্যায় বল, 

উচ্চারণ : ইয়া- হাইয়ূ ইয়া ক্বাইয়ূম বিরহ্:ামতিকা আস্তাগীছ আস্ব্লিহ্লী শা’নী কুল্লাহূ ওয়ালা- তাকিল্নী ইলা- নাফ্সী র্ত্বফাতা ‘আইনি। 

অর্থ : ‘হে চিরঞ্জীব! হে চিরন্তন! তোমার দয়ার মাধ্যমে তোমার নিকট সাহায্য চাই। তুমি আমার সার্বিক অবস্থা ও সকল বিষয় সংশোধন কর। এক মুহূর্তের জন্যও সেগুলি আমার প্রতি সমর্পণ করো না’ (সিলসিলা ছহীহাহ হা/২২৭/২৯৪২)। 

(১৬) উম্মু সালমা (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) ফজরের ছালাতের পর বলতেন, 

উচ্চারণ : আল্ল-হুম্মা ইন্নী আস্আলুকা ‘ইল্মান না-ফি‘আ, ওয়ারিঝ্ক্বান ত্বইয়্যিবান ওয়া ‘আমালাম মুতক্বাব্বালা। অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট উপকারী বিদ্যা, বৈধ র“যী ও গ্রহণীয় আমল চাচ্ছি’ (ইবনু মাজাহ, হাদীছ ছহীহ, মিশকাত হা/২৪৯৮)। 

(১৭) সন্ধ্যায় তিনবার বলতে হবে

উচ্চারণ : আ‘ঊযুবি কালিমা-তিল্লাহিত্ তা-ম্মাতি মিং র্শারি মা- খলাক্ব। অর্থ : ‘আমি আল্লাহর পূর্ণ নামের সাহায্যে তাঁর সকল সৃষ্টির অনিষ্ট হ’তে আশ্রয় চাই’ (ইবনু মাজাহ ২/২৬৬)। (১৮) রাসূল (ছাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি সকাল-সন্ধ্যায় দশবার করে বলবে

উচ্চারণ : আল্ল-হুম্মা স্বলি− ওয়া সালি−ম ‘আলা- নাবিয়্যিনা- মুহাম্মাদ। অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আমাদের নবী মুহাম্মাদ (ছাঃ)-এর উপর রহমত ও  শান্তি বর্ষণ কর’। সে ক্বিয়ামতের দিন আমার সুপারিশ পাবে (আত-তারগীব ওয়াত তারহীব ১/২৭৩)। 


0 Comments:

BDFile Telegram channel