১) হাসান বিন আলী (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে বিতর নামাযে পাঠ করার জন্য নিম্ন লিখিত দুআটি শিখিয়েছেনঃ
اللَّهُمَّ اهْدِنِي فِيمَنْ هَدَيْتَ وَعَافِنِي فِيمَنْ عَافَيْتَ وَتَوَلَّنِي فِيمَنْ تَوَلَّيْتَ وَبَارِكْ لِي فِيمَا أَعْطَيْتَ وَقِنِي شَرَّ مَا قَضَيْتَ فَإِنَّكَ تَقْضِي وَلَا يُقْضَى عَلَيْكَ وَإِنَّهُ لَا يَذِلُّ مَنْ وَالَيْتَ وَلَا يَعِزُّ مَنْ عَادَيْتَ تَبَارَكْتَ رَبَّنَا وَتَعَالَيْتَ
উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মাহ্দিনি ফীমান হাদায়তা ওয়া আফেনী ফীমান আফায়তা, ওয়া তাওয়াল্লানী ফীমান তাওয়াল্লায়তা ওয়া বারেক লী ফীমা আ’ত্বায়তা, ওয়া ক্বেনী শার্রা মা ক্বাযায়তা, ফা ইন্নাকা তাক্বযী ওয়ালা য়্যুক্বযা আলাইকা, ওয়া ইন্নাহু লা য়্যাযিল্লু মান ওয়ালায়তা, ওয়ালা ইয়েয্যু মান আদায়তা, তাবারাকতা রাব্বানা ওয়া তাআলায়তা।
অর্থঃ হে আল্লাহ্! আমাকে সঠিক পথ দেখিয়ে তাদের অন্তর্ভূক্ত কর যাদের তুমি হেদায়াত করেছ, আমাকে নিরাপদে রেখে তাদের মধ্যে শামিল কর, যাদের তুমি নিরাপদ রেখেছ। তুমি আমার অভিভাবকত্ব গ্রহণ করে তাদের মধ্যে শামিল কর যাদের তুমি অভিভাবক হয়েছ। তুমি আমাকে যা দান করেছ তাতে বরকত দাও। তুমি আমাকে সেই অনিষ্ট থেকে রক্ষা কর যা তুমি নির্ধারণ করেছ, কারণ তুমি ফায়সালাকারী এবং তোমার উপর কারো ফায়সালা কার্যকর হয় না। তুমি যার সাথে মিত্রতা পোষণ কর তাকে কেউ লাঞ্ছিত করতে পারে না। আর যার সাথে শত্রুতা পোষণ কর, সে কখনো সম্মানিত হতে পারে না। হে আমাদের রব! তুমি খুবই বরকতময়, সুউচ্চ ও সুমহান।
২) দুআ ক্বনূত হিসেবে নীচের দুআটিও পড়া যায়ঃ
اللهُمَّ إناَّ نَسْتَعِيْنُكَ، وَنَسْتَغْفِرُكَ، ولاَ نكفُرُكَ، ونُؤْمِنُ بِكَ ونَخْلَعُ مَنْ يَكْفُرُكَ، اللهُمَّ إيّاَكَ نَعْبُدُ، ولَكَ نُصَلِّيْ ونَسْجُدُ،
وإلَيْكَ نَسْعىَ ونَحْفِدُ، نَرْجُوا رَحْمَتَكَ ونَخْشى عَذاَبَكَ، إنَّ عَذاَبَكَ الْجِدَّ بِالْكُفاَّرِ مُلْحِقٌ، اللهُمَّ عَذِّبْ الْكَفَرَةَ الذِّيْنَ يَصُدُّوْنَ عَنْ سَبِيْلِكَ
অর্থঃ হে আল্লাহ্! নিশ্চয় আমরা আপনার নিকট সাহায্য চাই, আপনার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করি, আপনার সাথে কুফরী করি না। আপনার প্রতি ঈমান রাখি। আপনার সাথে যে কুফরী করে তার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করি। হে আল্লাহ্ শুধুমাত্র আপনারই ইবাদত করি। আপনার জন্যই নামায আদায় করি ও সিজদা করি। আপনার প্রতি অগ্রসর হই ও তৎপর থাকি। আপনার করুণা কামনা করি ও শাস্তিকে ভয় করি। নিশ্চয় আপনার কঠিন শাস্তি কাফেরদেরকে স্পর্শ করবে। হে আল্লাহ্ যে সমস্ত কাফের আপনার পথ থেকে বাধা দেয় তাদেরকে শাস্তি দিন।
৩) আলী বিন আবী তালেব (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বিতরের শেষ রাকাতে এই দুআটি পড়তেন।
اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِرِضَاكَ مِنْ سَخَطِكَ وَبِمُعَافَاتِكَ مِنْ عُقُوبَتِكَ وَأَعُوذُ بِكَ مِنْكَ لا أُحْصِي ثَنَاءً عَلَيْكَ أَنْتَ كَمَا أَثْنَيْتَ عَلَى نَفْسِكَ
উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা ইন্নী আঊযু বিরিযাকা মিন সাখাতিকা ওয়া বি মুআফাতিকা মিন ঊকূবাতিকা ওয়া আঊযুবিকা মিনকা লা উহ্ছী ছানাআন্ আলাইকা, আন্তা কামা আছনায়তা আলা নাফসিকা।
অর্থঃ হে আল্লাহ্ নিশ্চয় আমি আপনার সন্তুষ্টির মাধ্যমে আপনার অসন্তুষ্টি থেকে আশ্রয় কামনা করছি। আপনার নিরাপত্তার মাধ্যমে আপনার শাস্তি থেকে আশ্রয় চাচ্ছি। আপনার মাধ্যমে আপনার ক্রোধ থেকে আশ্রয় কামনা করছি। আমি আপনার গুণগাণ করে শেষ করতে পারব না। আপনি নিজের প্রশংসা যেভাবে করেছেন আপনি সেরূপই।
দুআ শেষ করার সময় পাঠ করবে,
صلى الله وسلم على نبينا محمد وآله وصحبه ومن تبعهم بإحسان إلى يوم الدين
ছাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লামা আলা নাবিয়্যিনা মুহাম্মাদ ওয়া আলিহি ওয়া ছাহবিহি, ওয়া মান তাবিআহুম বি ইহসানিন্ ইলা ইউমিদ্দীন।
0 Comments: