BDFile Telegram channel

26‏/04‏/2023

বিতর নামাযের শেষ রাকাতে ক্বেরাত পড়ার পর রুকূর পূর্বে অথবা রুকূ থেকে উঠার পর- উভয় অবস্থায় দুআ ক্বনূত পড়া জায়েয।

রুকূর পূর্বে ক্বনূত পড়ার দলীলঃ উবাই বিন কা’ব (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, 

أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّه عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يُوتِرُ فَيَقْنُتُ قَبْلَ الرُّكُوعِ

রাসূলুল্লাহ্‌ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বিতর নামায পড়তেন, তখন রুকূর পূর্বে ক্বনূত পড়তেন। 

আলক্বমা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘ইবনে মাসঊদ (রাঃ) ও নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর ছাহাবীগণ বিতর নামাযে রুকূর পূর্বে ক্বনূত পড়তেন।’ 


রুকূর পর ক্বনূত পড়ার দলীলঃ আবদুর রহামান বিন আবদুল আলক্বারী থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, উমার (রাযিয়াল্লাহু আনহু) যখন লোকদেরকে এক ইমামের পিছনে একত্রিত করলেন, তখন লোকেরা বিতরের ক্বনূতে কাফেরদের প্রতি লা’নত করতেন, অতঃপর দুআ শেষ করে তাকবীর দিয়ে সিজদা করতেন।’ 

নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ফরয নামাযে ক্বনূত পড়ার সময় কখনো রুকূর আগে কখনো রুকূর পরে করেছেন। 

আনাস বিন মালেক (রাঃ) বলেন,

قَنَتَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّه عَلَيْهِ وَسَلَّمَ شَهْرًا بَعْدَ الرُّكُوعِ يَدْعُو عَلَى أَحْيَاءٍ مِنَ الْعَرَبِ



রাসূলুল্লাহ্‌ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একমাস রুকূর পর ক্বনূত পাঠ করেছেন, তাতে তিনি আরবের কয়েকটি গোত্রের উপর বদদুআ করছেন। 

 আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্‌ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ফজর নামাযের ক্বেরাত পাঠ শেষে তাকবীর দিয়ে রুকূ করতেন। রুকূ থেকে উঠে ‘সামিয়্যাল্লাহুলিমান হামিদাহ্‌ রাব্বানা লাকাল্‌ হামদ্‌’ বলে- দাঁড়ানো অবস্থাতেই তিনি দুআ পড়তেন, ‘আল্লাহুম্মা আন্‌জেল্‌ ওয়ালিদ বিন ওয়ালিদ ....। 

ইবনে আব্বাস (রাঃ) বর্ণিত হাদীছে বলা হয়েছে, রাসূলুল্লাহ্‌ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পাঁচ ওয়াক্ত নামায যোহর, আছর, মাগরিব, এশা ও ফজরের নামাযে লাগাতার একমাস ক্বনূত পাঠ করেছেন। প্রত্যেক নামাযের শেষ রাকাতে ‘সাম্যিাল্লাহুলিমান হামিদাহ্‌’ বলার পর তিনি দুআ করতেন। সে সময় তিনি বানী সুলাইম গোত্রের কয়েকটি গোষ্ঠি- রি’ল, যাকওয়ান ও ঊছাই-এর উপর বদদুআ করতেন। আর পিছনের মুছল্লীগণ তাঁর দুআয় আমীন বলতেন। 

আনাস বিন মালেক (রাঃ) ফজরের নামাযে ক্বনূত পাঠ সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হলে তিনি বলেন, ‘আমরা রুকূর আগে ও পরে ক্বনূত পাঠ করতাম।’ 

শায়খ আলবানী বলেন, ‘হাসান সনদে প্রমাণিত হয়েছে যে, আবু বকর, ওমর ও উছমান (রাঃ) রুকূর পর ক্বনূত পাঠ করতেন।’  

সারকথা, দুআ ক্বনূত রুকূর আগে বা পরে যে কোন সময় পাঠ করা যায়। এতে কোন দোষ নেই। যখন যেভাবে ইচ্ছা পাঠ করতে পারবে।


0 Comments:

BDFile Telegram channel