উচ্চারণ : আল্ল-হুম্মা ইন্নী আস্আলুকাল ‘আফ্ওয়া ওয়াল ‘আ-ফিয়াহ, ফিদ দুনইয়া- ওয়াল আ-খিরাহ। অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট ইহকাল ও পরকালের ক্ষমা ও নিরাপত্তা চাচ্ছি’ (আবুদাঊদ, হা/৪৪১২, সনদ ছহীহ)।
উচ্চারণ : আল্ল-হুম্মা ইন্নাকা ‘আফুব্বুন তুহিব্বুল ‘আফ্ওয়া ফা‘ফু ‘আন্নী। অর্থ : ‘হে আল্লাহ! তুমি ক্ষমাশীল, ক্ষমাকে ভালবাস, আমাকে ক্ষমা কর’।
উচ্চারণ : আল্ল-হুম্মা ইন্নী আস্আলুকাল হুদা- ওয়াত তুক্বা- ওয়াল ‘আফা-ফা ওয়াল গিনা-। অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আমাকে হেদায়াত দান কর, পরহেযগারিতা দান কর, নৈতিক পবিত্রতা দান কর এবং সামর্থ্য দান কর’ (মুসলিম)। (৪) সাইয়েদুল ইসতেগফার :
উচ্চারণ : আল্ল-হুম্মা আংতা রব্বী লা- ইলা-হা ইল্লা- আংতা খলাক্বতানী ওয়া আনা ‘আব্দুকা ওয়া আনা ‘আলা ‘আহ্দিকা ওয়া ওয়া‘দিকা মাস্তাত্ব‘তু ওয়া আউযূবিকা মিং র্শারি মা- স্বনা‘তু আবুউ লাকা বিনি‘মাতিকা আলাইয়্যা ওয়া আবূউ বিযাম্বী ফাগ্ফিরলী ফাইন্নাহূ লা- ইয়াগ্ফির“য যুনূবা ইল্লা- আংতা। অর্থ : ‘হে আল্লাহ! তুমি আমার প্রতিপালক, তুমি ছাড়া ইবাদতের যোগ্য কোন উপাস্য নেই। তুমি আমাকে সৃষ্টি করেছ। আমি তোমার বান্দা এবং আমি আমার সাধ্য মত তোমার প্রতিশ্র“তিতে অঙ্গীকারাবদ্ধ রয়েছি। আমি আমার কৃতকর্মের অনিষ্ট হ’তে তোমার নিকট আশ্রয় চাই। আমি আমার উপর তোমার অনুগ্রহকে স্বীকার করছি এবং আমার পাপও স্বীকার করছি। অতএব তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও। নিশ্চয়ই তুমি ব্যতীত কোন ক্ষমাকারী নেই’ (বুখরী, মিশকাত হা/২৩৩৫)।
(৫) আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, আমি রাসূল (ছাঃ)-কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন, আল্লাহর শপথ! আমি দৈনিক সত্তর বারেরও অধিক পাঠ করি (আস্তাগফির“ল্ল-হা ওয়া আত‚বু ইলাইহ) ‘আমি আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রাথনা করি এবং তাঁর দিকে ফিরে যাই’ (বুখারী)।
(৬) কোন মুমিনকে কষ্ট দিলে বা গালি দিলে তার জন্য দো‘আ :
উচ্চারণ : আল্ল-হুম্মাজ্‘আল যা-লিকা র্কুবাতান ইলাইকা ইয়াওমাল ক্বিয়া-মাহ। অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আপনি ঐ গালিকে ক্বিয়ামতের দিন তার জন্য আপনার সন্তুষ্টির কারণ করে দিন’ (বুখারী)। (৭) কারো সন্তান ও অর্থ বৃদ্ধির জন্য দো‘আ : একবার রাসুলুল্লাহ (ছাঃ) আনাস (রাঃ)-এর অর্থ ও সš—ানের জন্য নিম্নোক্তভাবে দো‘আ করলেন,
উচ্চারণ : আল্ল-হুম্মার্ক্ছি মা-লাহূ ওয়া ওয়ালাদাহূ ওয়া বা-রিক লাহূ ফীমা আ‘ত্বইতাহ। অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আপনি তার সন্তান ও অর্থ বৃদ্ধি করুন এবং তাকে যা দান করেছেন, তাতে বরকত দান করুন’ (বুখারী)। (৮) আবূ মূসা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেন, জান্নাতের ভান্ডার সমূহের একটি হচ্ছে (লা- হাওলা ওয়ালাকুওওয়াতা ইল্লা- বিল্লা-হ) (বুখারী হা/৬৪০ ‘দো‘আ’ অধ্যায়)। (৯) আবু হুরায়রা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, তোমরা আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা কর,
উচ্চারণ : আল্ল-হুম্মা ইন্নী আউযুবিল্লাহি মিন্ জাহ্দিল বালা-য়ি ওয়া র্দাকিশ শাক্বা-য়ি ওয়া সুইল ক্বাযা-য়ি ওয়া শামা-তাতিল আ‘দা-য়ি। অর্থ : ‘আমি আল্লাহর নিকট আশ্রয় চাই বিপদের কষ্ট, দুর্ভাগ্যের আক্রমণ, মন্দ ফায়ছালা ও বিপদে শত্র“র হাসি হ’তে’ (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/২৪৫৭)। (১০) আনাস (রাঃ) বলেন, নবী করীম (ছাঃ) বলতেন,
উচ্চারণ : আল্ল-হুম্মা ইন্নী আ‘উযুবিকা মিনাল হামমি ওয়াল হু:ঝনি ওয়াল আজ্ঝি ওয়াল্ কাসালি ওয়াল জুব্নি ওয়াল বুখ্লি ওয়া যালা‘ইদ দায়নি ওয়া গলাবার্তি রিজা-ল। অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট আশ্রয় চাই চিন্তা, শোক, অ¶মতা, অলসতা, কাপুর“ষতা, ঋণের বোঝা ও মানুষের জবরদস্তি হ’তে’ (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/২৪৫৮)। (১১) যায়েদ বিন আরকাম (রাঃ) বলেন, রসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলতেন,
উচ্চারণ : আল্ল-হুম্মা ইন্নী আ‘উযুবিকা মিনাল‘আজযি ওয়াল কাসালি ওয়াল জুবনি ওয়াল বুখলি ওয়াল হারামি ওয়া ‘আযা-বিল কবরি। আল্ল-হুম্মা আ-তি নাফসী তাক্বওয়া-হা- ওয়া যাক্কিহা- আংতা খইর“ মাং যাক্কাহা- আংতা ওয়ালিইয়ুহা- আল্ল- হুম্মা ইন্নী আ‘উযুবিকা মিন্ ‘ইলমিন লা- ইয়ানফা‘উ ওয়া মিন ক্বলবিন লাইয়াখশা‘উ ওয়া মিন নাফসিন লা-তাশবা‘উ ওয়া মিন দা‘ওয়াতিন লা- ইউসতাজাবু লাহা-। অর্থ : ‘হে আল্লাহ! নিশ্চয়ই আমি আপনার নিকট আশ্রয় চাচ্ছি অ¶মতা, অলসতা, কাপুরুষতা, কৃপণতা, বার্ধক্য ও কবর আযাব হ’তে। ‘হে আল্লাহ! আমার আত্মাকে সংযম দান করুন, একে পবিত্র করুন, তুমিই শ্রেষ্ঠ পবিত্রকারী, তুমি তার অভিভাবক ও প্রভু। ‘হে আল্লাহ! নিশ্চয়ই আমি আপনার নিকট আশ্রয় চাচ্ছি এমন ইলম হ’তে যা উপকার করে না। এমন অন্তর হ’তে যা ভয় করে না। এমন আত্মা হ’তে যা তৃপ্তি লাভ করে না এবং এমন দো‘আ হ’তে যা কবুল হয় না’ (মুসলিম, মিশকাত হা/২৪৬০; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/২৩৪৭)। (১২) আব্দুল্লাহ ইবনু ওমর (রাঃ) বলেন, রাসুলুল্লাহ (ছাঃ) এ দো‘আ পড়তেন,
উচ্চারণ : আল্ল-হুম্মা ইন্নী আ‘উযুবিকা মিং ঝাওয়া-লি নি‘মাতিকা ওয়া তাহাব্বুলি ‘আ-ফিয়াতিকা ওয়া ফুজা-ই নিক্বমাতিকা ওয়া জামী‘ঈ সাখাতিকা। অর্থ : হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি তোমার নি‘য়ামতের হ্রাসপ্রাপ্তি, তোমার শান্তির বিবর্তন, তোমার শাস্তির হঠাৎ আক্রমণ এবং তোমার সমস্ত আপোষ হ’তে’ (মুসলিম, বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/২৩৪৮)।
(১৩) মা আয়েশা (রাঃ) বলেন, রাসুলুল্লাহ (ছাঃ) বলতেন,
উচ্চারণ : আল্ল-হুম্মা ইন্নী আ‘উযুবিকা মিন র্শারি মা- ‘আমিলতু ওয়া মিন র্শারি মা- লাম আ‘মাল। অর্থ : হে আল্লাহ! আপনার নিকট আশ্রয় চাচ্ছি যা আমি করেছি তার অনিষ্ট হ’তে, আর যা আমি করিনি তার অপকারিতা হ’তে (মুসলিম, মিশকাত হা/২৪৬২; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/২৩৪৯)।
(১৫) আনাস (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলতেন,
উচ্চারণ : আল্ল-হুম্মা ইন্নী আ‘উযুবিকা মিনাল বারস্বি ওয়াল জুযা-মি ওয়াল জুনূনি ওয়া মিং সায়ইল আসক্বা-ম। অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট আশ্রয় চাই শ্বেত রোগ, কুষ্ঠরোগ, পাগলামি ও খারাপ রোগ সমূহ হ’তে’ (নাসাঈ, মিশকাত, হা/২৪৭০)। (১৬) আনাস (রাঃ) বলেন, রাসুলুল্লাহ (ছাঃ) অধিক সময় বলতেন,
উচ্চারণ : আল্ল-হুম্মা আ-তিনা- ফিদ্ দুনইয়া- হাসানাহ, ওয়াফিল আ-খিরাতি হাসানাহ, ওয়া ক্বিনা- ‘আযা-বান না-র। অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আমাদেরকে ইহকাল ও পরকালে কল্যাণ দান করুন, আর আমাদেরকে জাহান্নামের শাস্তি হ’তে বাঁচান’ (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত, হা/২৪৮৬)।
0 Comments: