পাঁচ ওয়াক্ত ছালাতের শেষ রাক‘আতে রুকু‚ থেকে উঠে সামি‘আল্ল-হু লিমান হামিদাহ্ পড়ার পর হাত তুলে কুনূতে নাযেলাহ পড়তে হবে। এসময় মুক্তাদীগণ আমীন, আমীন বলবে (আবুদাউদ, মিশকাত হা/১২৯০)। শুধু ফজরের ছালাতেও এ দো‘আ পড়া যায়।
উচ্চারণ : আল্ল-হুম্মাগ্ র্ফি লানা- ওয়া লিল্-মু’মীনীনা ওয়াল মু’মিনা-ত, ওয়াল মুসলিমীনা ওয়াল-মুসলিমা-ত, ওয়া আলি−ফ বাইনা কুলূবিহিম ওয়া আস্বলিহ: যাতা বাইনিহিম ওয়া আংস্বুরহুম ‘আলা- আদুববিকা ওয়া আদুববিহিম। আল্ল-হুম্মাল ‘আন, আহ্লা কিতা-বিল-লাযীনা ইয়াস্বুদ্দূনা ‘আন সাবীলিকা ওয়া ইউ কাযযিবূনা র“সুলাক, ওয়া ইউক্ব-তিলূনা আও-লিয়্যাআক। আল্ল-হুম্মা খ-লিফ্ বাইনা কালিমা-তিহিম্ ওয়া ঝাল-ঝিল আক্ব-দা-মাহুম, ওয়া আংঝিল বিহিম্ বা’সাকাল্লাযী লা-তার“দ্দূহু ‘আনিল ক্বওমিল মুজরিমীন (বায়হাক্বী)। বিসমিল্লা-হির রহ্মা-নির রহীম। আল্ল-হুম্মা ইন্না-নাস্তা ঈনুকা ওয়া নু’-মিনু বিকা ওয়ানাতাওয়াক্কালু ‘আলাইক, ওয়ানুছনী ‘আলাইকাল খাইরা ওয়ালা-নাক্ফুর“কা বিসমিল্লা-হির রহমা-নির রহীম, আল্ল-হুম্মা ইয়্যা-কা না‘বুদু ওয়ালাকা নুস্বলী ওয়া নাস্জুদ, ওয়া ইলাইকা নাস্আ‘ ওয়া নাহ:ফিদু র্নাজূ রহ্:মাতাক, ওয়া নাখশা‘আযা-বাক, ইন্না-‘আযা-বাকাল জিদ্দা বিল কুফফা-রি মুলহি:ক্ব, আল্লাহুম্মা ‘আযযিব্ কাফারতা আহলিল-কিতা-বিল্লাযীনা ইয়াস্বুদদূনা ‘আন সাবীলিক (ইবনু আবীশায়বা)। আল্ল-হুম্মা মুংঝিলাল-কিতাব, সারীআ‘আল হি:সা-ব, আহ্ঝিমিল আহ:ঝা-বা, আল্ল-হুম্মা আহ্ঝিম্-হুম ওয়া ঝাল-ঝিলহুম্ আল্ল-হুম্মা মুংঝিলাল-কিতাব, ওয়া মুজ্রিইয়াস সাহাব, ওয়া হা-ঝিমিল-আহ:যা-ব, আহ:ঝিমহুম ওয়াংস্বুরনা‘আলাইহিম (বুখারী, মুসলিম)। আল্ল-হুম্মা আংজিল ওয়ালীদাব্নাল ওয়ালীদ, আল্ল-হুম্মা আংঝিল সালামাতাব্না হিশা-ম, আল্ল-হুম্মা আংজি ‘আইয়া-শাব্না আবী রবী‘আহ, আল্ল-হুম্মাশ্দুদ্ ওয়াত্ব আতাকা, ‘আলা-মুযর্ ওয়াজ‘আলহা- ‘আলাইহিম সিনীনা কা-সিনিয়ী ইউসুফা আল্ল-হুম্মা আল‘আন ফুলানান ওয়া ফুলানা (বুখারী)।
অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আপনি আমাদের ক্ষমা করুন, ক্ষমা করুন সকল মুমিন ও মুসলিম নর-নারীকে। হে আল্লাহ! আপনি মুসলমানদের অন্তরে ভ্রাতৃত্বভাব সৃষ্টি করে দিন এবং তাদের মাঝে মীমাংসা করে দিন। হে আল্লাহ! আপনার শক্র ও মুসলমানের শত্র“র বির“দ্ধে আপনি মুসলমানদেরকে সাহায্য করুন। ঐসব আহলে কিতাবের উপর অভিশাপ করুন, যারা আপনার পথে বাধা প্রদান করে, আপনার রাসূলদেরকে অস্বীকার করে এবং আপনার ওয়ালীদের সাথে যুদ্ধ করে। হে আল্লাহ! আপনি তাদের পরিকল্পনা ভেঙ্গে চৌচির করে দিন, তাদের পা কাঁপিয়ে তুলুন এবং তাদের উপর আপনার এমন শাস্তি অবতীর্ণ করুন, যা অপরাধী সম্প্রদায়ের উপর অবতরণ করলে ফেরত নেন না’ (বায়হাক্বী)। পরম কর“ণাময় আল্লাহর নামে আরম্ভ করছি। হে আল্লাহ! নিশ্চয়ই আমরা আপনার নিকট সাহায্য চাই। আপনার উপর বিশ্বাস রাখি, আপনার উপরই ভরসা করি। আপনার কল্যাণের প্রশংসা করি এবং আমরা আপনার কুফুরী করি না। পরম কর“ণাময় আল্লাহর নামে আরম্ভ করছি। হে আল্লাহ! আমরা একমাত্র আপনারই ইবাদত করি, আপনার জন্যই ছালাত আদায় করি, আপনার জন্য সিজদা করি এবং আপনার নিকট ফিরে যাওয়ার সর্বাত্মক চেষ্টা করি। আপনার রহমতের আশা করি এবং আপনার শক্তির ভয় করি। নিশ্চয়ই কাফিরদের উপর আপনার কঠিন শাস্তি অর্পিত হৌক। হে আল্লাহ! আহলে কিতাবদেরকে শাস্তি দান করুন, যারা অস্বীকার করে এবং আপনার পথে বাধা সৃষ্টি করে’ (ইবনে আবী শায়বা)। হে আল্লাহ! কিতাব অবতীর্ণকারী, দ্র“ত হিসাব গ্রহণকারী। আমাদের সাথে ষড়যন্ত্রকারী দলকে পরাস্ত করুন। হে আল্লাহ! আপনি তাদের পরাস্ত করুন, তাদের ভীতি প্রদর্শন করুন। হে আল্লাহ! কিতাব অবতীর্ণকারী, বৃষ্টি বর্ষণকারী! ষড়যন্ত্রকারী দলকে পরা¯—কারী! আপনি তাদের পরাস্ত করুন, তাদের বির“দ্ধে আমাদেরকে সাহায্য করুন’ (বুখারী, মুসলিম)। হে আল্লাহ! আপনি ওয়ালীদ ইবনু ওয়ালীদকে রক্ষা করুন, সালাম ইবনু হিশামকে রক্ষা করুন, আইয়াশ ইবনু আবী রাবী‘আকে রক্ষা করুন। হে আল্লাহ! মুযার বংশের উপর আপনার শাস্তি কে কঠিন করে দিন, তাদের উপর দুর্ভি¶ চাপিয়ে দিন, যেমন ইউসুফ (আঃ)-এর যুগে চাপিয়েছিলেন। হে আল্লাহ! আপনি অমুক অমুকের উপর অভিসম্পাত করুন’ (বুখারী, বায়হাক্বী, ২/২৯৮ পৃঃ; ‘ছালাত’ অধ্যায়, অনুচ্ছেদ ২৯৬; মুছান্নাফ ইবনু আবী শায়বাহ পৃঃ ২/২১৩; ইরওয়াউল গালীল হা/৪২৮)। উক্ত দো‘আর ন্যায় বর্তমানে হক্বপন্থী দ্বীনের মুজাহিদকে বা মুসলিম স¤প্রদায়কে ইসলাম বিরোধী শক্তির হাত থেকে রক্ষার জন্য নির্দিষ্ট ব্যক্তি ও স¤প্রদায়ের নাম উল্লেখ করে দো‘আ করা যাবে। অনুরূপভাবে বর্তমানে ইসলাম বিরোধী কোন ব্যক্তি বা স¤প্রদায় ও দেশকে নিঃশ্চিহ্ন করার জন্য নির্দিষ্ট নামে আল্লাহর কাছে অভিশাপ প্রার্থনা করা যাবে।
0 Comments: