(১) সামুরা ইবনু জুনদুব (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, সবচেয়ে উত্তম বাক্য হচ্ছে চারটি। যথা-
উচ্চারণ : সুব্হা-নাল্লা-হি ওয়ালহাম্দুলিল্লা-হি ওয়া লা- ইলা-হা ইল্লাল্ল-হু ওয়াল্ল- হু আক্বার।
(২) আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসুলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি প্রত্যহ ১০০ বার (সুব্হানাল্ল-হি ওয়া বিহাম্দিহি) বলবে, তার সমুদ্রের ফেনা পরিমাণ পাপও ক্ষমা করা হবে’ (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/২২৯৫)।
(৩) আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসুলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি সকাল ও সন্ধ্যায় ১০০ বার (সুব্হানাল্ল-হি ওয়া বিহাম্দিহি) বলবে, সে ব্যক্তি ক্বিয়ামতের দিন সবচেয়ে বেশী নেকীর অধিকারী হবে’ (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত, হা/২২৯৭)।
(৪) আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘দু’টি কালিমা উচ্চারণে হালকা, মীযানে অত্যš— ভারী এবং আল্লাহর নিকট অতীব প্রিয়। তা হচ্ছে- (সুব্হা-নাল্লা-হি ওয়া বিহাম্দিহী সুব্হ:া-নাল্ল-হিল ‘আযীম) (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত, হা/২২৯৮)।
(৫) সা‘দ ইবনু আবী ওয়াক্কাস (রাঃ) বলেন, আমরা রাসুলুল্লাহ (ছাঃ)-এর নিকটে ছিলাম, তিনি বললেন, ‘তোমাদের কোন ব্যক্তি প্রত্যেক দিন ১০০০ নেকী অর্জন করতে স¶ম কি? জনৈক ব্যক্তি বলল, আমাদের মধ্যে কোন ব্যক্তি কিভাবে ১০০০ নেকী অর্জন করবে? রাসুলুল্লাহ (ছাঃ) বললেন, ১০০ বার (সুব্হানাল্লা-হ) বললে তার জন্য এক হাজার নেকী লেখা হবে অথবা তার এক হাযার পাপ মোচন করা হবে’ (মুসলিম, মিশকাত, হা/২২৯৯)।
(৬) যুয়ায়রিয়া (রাঃ) বলেন, একদা ফজরের ছালাতের পর রাসূল (ছাঃ) তার নিকট দিয়ে গেলেন, তখন তিনি মসজিদে ছিলেন। অনুমান ৯/১০-টার সময় রাসূল (ছাঃ) ফিরে আসার সময়েও তাকে ঐ অবস্থায় দেখতে পান। তিনি বললেন, তোমাকে যে অবস্থায় রেখে গিয়েছিলাম, সে অবস্থাতেই যে আছ? মহিলাটি বলল, হ্যাঁ। রাসূল (ছাঃ) বললেন, তোমার সাথে সালাতের পর আমি ৪টি বাক্য তিনবার বলেছি। তুমি সকাল থেকে যা বলেছ তা এবং এ চারটি বাক্য যদি ওযন করা হয়, তাহ’লে এ চারটি বাক্য ভারী হবে। বাক্য চারটি হচ্ছে-
উচ্চারণ : সুব্হানাল্ল-হি ওয়া বিহাম্দিহী ‘আদাদা খল্ক্বিহী ওয়া রিযা নাফ্সিহী ওয়া ঝিনাতা ‘র্আশিহী ওয়া মিদা-দা কালিমা-তিহ। অর্থ : ‘আল্লাহর পবিত্রতা বর্ণনা করছি তাঁর প্রশংসা সহকারে। তাঁর সৃষ্টি সংখ্যার সমপরিমাণ, তাঁর ইচ্ছার সংখ্যানুপাতে, তাঁর আরশের ওযন পরিমাণ ও তাঁর বাক্য সমূহের সংখ্যা পরিমাণ’ (মুসলিম, মিশকাত, হা/২৩০১)।
(৭) আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি দৈনিক একশত বার বলবে,
(লা-ইলা-হা ইল্লাল্ল-হু ওয়াহ্:দাহূ লা- শারীকা লাহ, লাহুল মুল্কু ওয়া লাহুল হামদু ওয়া হুওয়া ‘আলা- কুলি− শাইয়িং ক্বদীর) সে ১০ জন দাস মুক্ত করার সমান নেকী পাবে। তার জন্য একশত নেকী লেখা হবে। তার একশত পাপ মোচন করা হবে এবং সারা দিন তাকে শয়তানের ক্ষতি হ’তে রক্ষা করা হবে এবং ক্বিয়ামতের দিন সে সবচেয়ে বেশী নেকীর অধিকারী হবে’ (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/২৩০২)।
(৮) জাবির (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি (সুব্হা-নাল্ল-হিল ‘আযীম ওয়া বিহাম্দিহ) বলবে, তার জন্য জান্নাতে একটি খেজুর গাছ লাগানো হবে’ (তিরমিযী, হাদীছ ছহীহ, মিশকাত হা/২৩০৪)।
(৯) জাবির (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘সবচেয়ে উত্তম যিকির হচ্ছে (লা-ইলা-হা ইল্লাল্ল-হু)। আর সবচেয়ে উত্তম দো‘আ হচ্ছে- (আল-হাম্দু লিল্লা-হ) (তিরমিযী, হাদীছ ছহীহ , মিশকাত, হা/২৩০৬)। (১০) ইবনু মাস‘ঊদ (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) এরশাদ করেন, মি‘রাজের রাতে ইবরাহীম (আঃ)-এর সাথে আমার সাক্ষাৎ হ’ল। তিনি বললেন, মুহাম্মাদ! আপনার উম্মতকে আমার প¶ থেকে সালাম দিবেন এবং তাদের বলে দিবেন যে, নিশ্চয়ই জান্নাত একটি পবিত্র স্থান ও মিঠা পানির স্থান এবং গাছপালা মুক্ত স্থান। নিশ্চয়ই তার গাছ হচ্ছে, (সুব্হা-নাল্লাহি ওয়ালহাম্দুলিল্লা-হি ওয়া লা-ইলা-হা ইল্লাল্ল-হু ওয়াল্ল-হু আক্বার) (তিরমিযী, হাদীছ হাসান, মিশকাত, হা/২৩১৫)।
(১১) সা‘দ ইবনু আবী ওয়াক্কাছ (রাঃ) বলেন, পলীর একজন মানুষ রাসূল (ছাঃ)- এর নিকট এসে বলল, আমাকে কিছু কালেমা শিখিয়ে দিন। রাসূল (ছাঃ) বললেন, তুমি বল,
উচ্চারণ : লা-ইলা-হা ইল্লাল্ল-হু ওয়াহ:দাহূ লা- শারীকা লাহু, আল্ল-হু আক্বার কাবীরা ওয়ালহাম্দু লিল্লা-হি কাছীরা, ওয়া সুব্হ-নাল্লা-হি রববিল ‘আ-লামীন। লা-হাওলা ওয়ালা- কুউওয়াতা ইল্লা-বিল্লা-হিল ‘আঝীঝিল হাকীম। তখন লোকটি বলল, এগুলি তো আমার প্রতিপালকের জন্য হ’ল, আমার জন্য কি? রাসূল (ছাঃ) বললেন, তুমি বল, (আল্ল-হুম্মাগ্ ফিরলী ওর্য়াহামনী ওয়াহ্দিনী ওয়ারঝুক্বনী ওয়া ‘আ-ফিনী) (মুসলিম, মিশকাত, হা/২৩১৭)।
(১২) ইউসিরা (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) আমাদের বললেন, ‘তোমাদের জন্য তাসবীহ-তাহলীল পাঠ করা যরূরী। তোমরা আঙ্গুলের মাধ্যমে তাসবীহ পাঠ কর, নিশ্চয়ই আঙ্গুলকে জিজ্ঞেস করা হবে এবং আঙ্গুল কথা বলবে’ (আবুদাঊদ, হাদীছ ছহীহ, মিশকাত, হা/২৩১৫)। উল্লেখ্য, তাসবীহ দানার মাধ্যমে তাসবীহ পাঠ বিদ‘আত।
0 Comments: