(১) হুযায়ফা (রাঃ) বলেন, যখন রাসূল (ছাঃ) ঘুম থেকে জাগ্রত হ’তেন তখন বলতেন,
উচ্চারণ
: আল্হাম্দু লিল্লা-হিল্লাযী আহ্:ইয়া-না-
বা‘দা মা- আমা-তানা- ওয়া ইলাইহিন নুশূর।
অর্থ
: ‘ঐ আল্লাহর প্রশংসা, যিনি মৃত্যুর পর
আমাদেরকে পুনরায় জীবিত করলেন। আমাদের প্রত্যাবর্তন তাঁরই দিকে’ (বুখারী, মিশকাত, ২০৮ পৃঃ)।
(২) উবাদা ইবনু ছামেত (রাঃ)
বলেন, রাসুলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘কেউ
যদি শেষ রাতে শয্যায়
যাওয়ার পর ঘুম থেকে
জেগে বলে,
উচ্চারণ
: লা-ইলা-হা ইল্লাল্ল-হু
ওয়াহ্:দাহূ লা- শারীকা
লাহ, লাহুল মুল্কু ওয়া লাহুল হামদু
ওয়া হুওয়া ‘আলা- কুলি− শাইয়িং
ক্বদীর, সুব্হা-নাল্লা-হি ওয়াল হামদু
লিল্লা-হি ওয়ালা- ইলা-হা ইল্লাল্ল-হু ওয়াল্ল-হু
আকবার, ওয়া লা- হাওলা
ওয়ালা- কুওওয়াতা ইল্লা- বিল্লা-হিল ‘আলিইয়িল ‘আযীম-
রব্বিগ্ র্ফিলী।
অর্থ
: ‘আল্লাহ ব্যতীত কোন মা‘বূদ
নেই, তিনি একক, তাঁর
কোন শরীক নেই। রাজত্ব
তাঁরই অধীনে, প্রশংসা মাত্রই তাঁর। তিনি সমস্ত বস্তুর
প্রতি ক্ষমতাশীল। আমরা আল্লাহর পবিত্রতা
বর্ণনা করি। প্রশংসা আল্লাহর জন্য।
আল্লাহ ব্যতীত কোন মা‘বূদ
নেই। আল্লাহ সবচেয়ে বড়। তাঁর সাহায্য
ব্যতীত কোন শক্তি বা
কোন উপায় নেই। তিনি
উচ্চ, বড়। (শেষে বলবে,)
‘হে আল্লাহ! আমাকে ক্ষমা করে দাও। তাকে
ক্ষমা করে দেওয়া হবে’
(বুখারী, ইবনু মাজাহ, হা/৩১৪২; মিশকাত হা/১২১৩ ‘রাতে
জাগ্রত হয়ে দো‘আ’
অনুচ্ছেদ, ‘ছালাত’ অধ্যায়)। (৩) অন্য
বর্ণনায় রয়েছে, রাসুলুল্লাহ (ছাঃ) ঘুম থেকে
ওঠার সময় বলতেন,
উচ্চারণ
: আলহাম্দু লিল্লা-হিল্লাযী ‘আ-ফা-নী
ফী জাসাদী ওয়া রদ্দা ‘আলাইইয়া
রূহী ওয়া আযিনালী বিযিক্রিহ।
অর্থ : ‘প্রশংসা ঐ আল্লাহর জন্য,
যিনি আমার শরীরে নিরাপত্তা
দান করেছেন, আত্মা ফেরত দিয়েছেন এবং
তাঁকে স্মরণ করার সুযোগ দিয়েছেন’
(ছহীহ তিরমিযী, ৩য় খন্ড, পৃঃ
১৪৪)।
(৪)
রাসুলুল্লাহ (ছাঃ) যখন শেষ
রাতে তাহাজ্জুদ ছালাত আদায়ের জন্য উঠতেন, তখন
সূরা আলে ইমরানের শেষ
র“ক‚ তিলাওয়াত করতেন’
(বুখারী, মুসলিম, মিশকাত, ১০৬ পৃঃ)।
অন্য বর্ণনায় শেষ র“ক‚র প্রথম ৫
আয়াত পড়ার কথা আছে
(ছহীহ নাসাঈ হা/১৬২৫; সনদ
ছহীহ, মিশকাত হা/১২০৯ ‘রাতের
ছালাত’ অনুচ্ছেদ)।
0 Comments: