যেহেতু ইতোপূর্বে প্রমাণিত হয়েছে যে, বিতর নামায ওয়াজিব নয়; বরং তা সুন্নাতে মুআক্কাদাহ। তাই বিতরের মাঝে ক্বনূতও ওয়াজিব নয়; বরং দুআ ক্বনূত বিতর নামাযের জন্য মুস্তাহাব।
শায়খ আলবানী বলেন, ‘কখনো কখনো নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বিতর তথা বেজোড় রাকাত বিশিষ্ট ছালাতে ক্বনূত করতেন।’
তিনি বলেন, আমরা এজন্য ‘কখনো কখনো’ করতেন বলেছি যে, যে সমস্ত ছাহাবী বিতর সম্পর্কিত
হাদীছ সমূহ বর্ণনা করেছেন, তাঁরা এর মধ্যে কুনূতের কথা উল্লেখ করেননি। যদি সর্বদা তিনি বিতরে ক্বনূত পড়তেন তবে ছাহাবীগণ তা উল্লেখ করতেন। তবে হ্যাঁ, বিতরে ক্বনূত পড়ার কথা শুধুমাত্র উবাই বিন কা’ব (রাঃ) কর্তৃক নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণনা করেছেন। এথেকেই প্রমাণ হয় যে, তিনি কখনো কখনো উহা করতেন।
তিনি আরো বলেন, এ থেকে আরো প্রমাণিত হয় যে, বিতরে ক্বনূত পড়া ওয়াজিব নয়। এজন্য হানাফী মাযহাবের গবেষক আলেম ইবনুল হুমাম ফাতহুল ক্বাদীর গ্রন্থে [১/৩০৬, ৩৫৯, ৩৬০ পৃঃ] ¯^xKi করে বলেছেন, বিতরে ক্বনূত করা ওয়াজিব বলে যে মতটি রয়েছে তা অত্যন্ত দুর্বল যার পক্ষে কোন (ছহীহ) দলীল সাব্যস্ত হয়নি। নিঃসন্দেহে এ ¯^xK…wZ তাঁর ন্যায়পরায়নতা ও গোঁড়ামী বর্জনের বড় দলীল। কেননা যে কথাকে তিনি প্রাধান্য দিয়েছেন তা হচ্ছে তাঁর মাযহাবের বিপরীত।
এ জন্য দুআ ক্বনূত সারা বছর পড়তে পারে আবার কখনো পড়বে কখনো ছাড়বে- সবগুলোই জায়েয আছে। কেননা কোন কোন ছাহাবী ও তাবেঈ থেকে বিতরে ক্বনূত পরিত্যাগ প্রমাণিত হয়েছে। আবার কেউ কেউ শুধুমাত্র রামাযানের শেষ অর্ধেক ছাড়া সারা বছর আর কখনো ক্বনূত পড়েননি। আবার এটাও প্রমাণিত হয়েছে যে, অনেকে সারা বছরই ক্বনূত পড়েছেন।
ইমাম ইবনু তাইমিয়া (রঃ) বলেন, ‘এজন্য ইমাম মালেক ক্বনূত না পড়ার পক্ষে মত দিয়েছেন। ইমাম শাফেয়ী শুধুমাত্র রামাযানের শেষ অর্ধেকে ক্বনূতের পক্ষপাতি ছিলেন। আর ইমাম আবু হানীফা ও আহমাদ সারাবছর ক্বনূত পড়ার ব্যাপারে মত দিয়েছেন। সবগুল মতই জায়েয। যে কোন একটির উপর আমল করলে তাতে কোন দোষ নেই।’
0 Comments: