২১ ডিসে, ২০২৩

বিবাহের হলফনামা দলিল (Word File) Marriage affidavit Nikahnama (Muslim marriage contract)

বিবাহের হলফনামা দলিল (Word File) Marriage affidavit Nikahnama (Muslim marriage contract)

বিবাহের হলফনামা দলিল হলো আইনি দিক থেকে বৈধ বিয়ের স্বীকৃতি প্রদানকারী একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল। এতে বিয়ের তারিখ, স্বামী-স্ত্রীর নাম, ঠিকানা, পিতামাতার নাম, বয়স, ধর্ম, দেনমোহরের পরিমাণ, বিয়ের ধরণ (নিবন্ধিত/অনিবন্ধিত) ইত্যাদি তথ্য স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকে।

বিবাহের হলফনামা কিভাবে লিখবেন




বিবাহের হলফনামা দলিল হলো একটি আইনি দলিল যা বর ও কনে, দুজনে স্বেচ্ছায় এবং আইন অনুযায়ী বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল কারণ এটি বিবাহের বৈধতা প্রমাণ করে এবং ভবিষ্যতে আইনি জটিলতা এড়াতে সাহায্য করে।

Bibaher Halfanama Dolil কাদের প্রয়োজন?

  • যারা আইন অনুযায়ী বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হতে চান।
  • যারা তাদের বিবাহের বৈধতা নিশ্চিত করতে চান।
  • যারা ভবিষ্যতে আইনি জটিলতা এড়াতে চান।
  • যারা বিবাহের জন্য আইনি স্বীকৃতি চান।

বিবাহের হলফনামা দলিলের সুবিধা:

  • বিবাহের বৈধতা প্রমাণ করে।
  • ভবিষ্যতে আইনি জটিলতা এড়াতে সাহায্য করে।
  • সম্পত্তি অধিকার প্রতিষ্ঠায় সহায়ক।
  • সন্তানের জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরিতে সহায়ক।
  • পারিবারিক আইনি স্বীকৃতি নিশ্চিত করে।

বিবাহের হলফনামা দলিল তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:

  • বর ও কনের পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
  • বর ও কনের জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি।
  • বর ও কনের বাবা-মায়ের জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি।
  • বিবাহের সনদপত্র (যদি থাকে)।
  • ঠিকানা প্রমাণ (যেমন: বিদ্যুৎ বিল, গ্যাস বিল)।
  • ২০০ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প।

বিবাহের হলফনামা দলিল তৈরির প্রক্রিয়া:

  • প্রথমে একটি হলফনামা তৈরি করতে হবে।
  • হলফনামায় বর ও কনের নাম, ঠিকানা, বয়স, পেশা, ধর্ম, জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর, বাবা-মায়ের নাম ইত্যাদি তথ্য উল্লেখ করতে হবে।
  • হলফনামায় বর ও কনে স্বেচ্ছায় এবং আইন অনুযায়ী বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার ঘোষণা দিতে হবে।
  • হলফনামায় দুইজন সাক্ষীর স্বাক্ষর লাগাতে হবে।
  • হলফনামাটি একজন নোটারি পাবলিক বা প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে সত্যায়িত করতে হবে।

বিবাহের হলফনামা দলিলের খরচ:

  • আইনজীবীর ফি: ৫০০-১০০০ টাকা
  • নোটারি পাবলিকের ফি: ১০০-২০০ টাকা
  • স্ট্যাম্প: ২০০ টাকা

বিশেষ দ্রষ্টব্য:

  • বিবাহের হলফনামা দলিল তৈরি করার আগে একজন আইনজীবীর সাথে পরামর্শ করা উচিত।
  • হলফনামায় সঠিক তথ্য উল্লেখ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
  • হলফনামাটি সত্যায়িত করার পরে নিরাপদে সংরক্ষণ করা উচিত।

এই আর্টিকেলটি আপনাকে বিবাহের হলফনামা দলিল সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করেছে। আশা করি এই তথ্য আপনার জন্য সহায়ক হবে।

১. বিবাহ হলফনামা কি?

উত্তর: বিবাহ হলফনামা হল বাংলাদেশে নিবন্ধিত বিবাহের সময় স্বাক্ষরকারী দলিল। এটি স্বাক্ষরকারী সম্পদের পরিবর্তে নেওয়া যায় এবং সম্পাদিত হয় ব্যক্তিগত স্বাক্ষর দ্বারা।


২. বিবাহ হলফনামা কেন গুরুত্বপূর্ণ?

উত্তর: বিবাহ হলফনামা বয়স্ক স্বাক্ষরকারীদের দ্বারা সম্পাদিত হয় এবং এটি বিবাহের দুর্গতি বা ভুলের ক্ষেত্রে একটি সক্ষম দলিল। সম্ভবত এটি স্বাক্ষরকারীদের নিজেদের সুরক্ষা করার সুযোগ প্রদান করে।


৩. বিবাহের হলফনামা প্রদানের পর কি করণীয় রয়েছে?

উত্তরঃ বিবাহের হলফনামা প্রদানের পর পার্থক্যমতো দুটি করণীয় রয়েছে। প্রথমত, স্বাক্ষর করণীয়। দ্বিতীয়ত, হলফনামা নোটারাইজ করার পর সম্পদ নিবন্ধন অফিসে জমা দেয়া হয়।


৪. হলফনামা বাংলাদেশে কোন আইনে উল্লেখিত?

উত্তরঃ হ্যাঁ, বাংলাদেশে বিবাহ ও তালাক (মুসলিম) বিধিমালা, ২০০৯ সালে হলফনামার ব্যাপারে বিশেষ উল্লেখ করা হয়েছে।

1 টি মন্তব্য:

BDFile Telegram channel