২১ ডিসে, ২০২৩

নাম পরিবর্তনের হলফনামা দলিল (Word File) Affidavit for name change

নাম পরিবর্তনের হলফনামা দলিল (Word File) Affidavit for name change

নিজের/অন্যকের নাম সংশোধনের হলফনামা হল একটি আইনগত দলিল যা ব্যক্তির নাম ও অন্যান্য ব্যক্তিগত তথ্য সংশোধনের জন্য দাখিল করা হয়। সেই হলফনামায় ব্যক্তির নাম, সন্তানের নাম, বয়স, ঠিকানা ইত্যাদি তথ্য থাকতে পারে। এছাড়াও কোন কাগজপত্র যেমন পাসপোর্ট, জন্ম নিবন্ধন সার্টিফিকেট ইত্যাদি প্রয়োজন হলে হলফনামার সাথে প্রদান করতে হয়। 

নাম সংশোধনের হলফনামা



নাম সংশোধনের হলফনামা


মাতার নাম ও বয়স সংশোধান হলফনামা

নাম সংশোধনের হলফনামা হলো আইনি দলিল যা আপনার বর্তমান নাম পরিবর্তন করে নতুন নাম গ্রহণের ঘোষণা দেয়। বিভিন্ন কারণে, যেমন ভুল বানান, বিবাহের পর নাম পরিবর্তন, ব্যক্তিগত পছন্দ, বা ধর্মীয় বিশ্বাস, একজন ব্যক্তি নাম পরিবর্তন করতে চাইতে পারেন।

Nam Sangshodhoner Halfanama Dolil কাদের প্রয়োজন?

  • যাদের নামে ভুল বানান বা অনুপযুক্ত শব্দ আছে।
  • যারা বিবাহের পর স্বামীর নাম ধারণ করতে চান।
  • যারা ধর্মীয় বিশ্বাসের কারণে নাম পরিবর্তন করতে চান।
  • যারা ব্যক্তিগত পছন্দের কারণে নাম পরিবর্তন করতে চান।

সুবিধা:

  • সঠিক নাম ব্যবহারের মাধ্যমে আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি।
  • সামাজিক ও আইনি জটিলতা সমাধান।
  • সরকারি দলিলে নামের সামঞ্জস্যতা নিশ্চিত করা।
  • ব্যক্তিগত পছন্দ অনুযায়ী নাম ধারণের স্বাধীনতা।

Name Correction Affidavit Document কি কি লাগবে?

  • নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প: 200 টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে হলফনামা লিখতে হবে।
  • ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
  • বর্তমান নামের প্রমাণ: জাতীয় পরিচয়পত্র, ভোটার আইডি, পাসপোর্ট, শিক্ষাগত সনদপত্র ইত্যাদি।
  • নতুন নামের প্রস্তাবিত বানান: স্পষ্টভাবে উচ্চারণ ও বানান লেখা।
  • সাক্ষীর তথ্য: একজন সাক্ষীর নাম, ঠিকানা এবং পেশা।

কিভাবে করবেন?

  • হলফনামা লেখা: একজন আইনজীবীর সাহায্যে হলফনামা লিখুন অথবা অনলাইনে নমুনা হলফনামা ব্যবহার করুন।
  • সত্যায়ন: হলফনামা নোটারি পাবলিক বা প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে সত্যায়ন করতে হবে।
  • প্রয়োজনীয় প্রতিষ্ঠানে জমা: নাম পরিবর্তনের প্রয়োজনীয় প্রতিষ্ঠানে (যেমন, নির্বাচন কমিশন, জাতীয় পরিচয়পত্র অধিদপ্তর, ব্যাংক ইত্যাদি) হলফনামার সত্যায়িত কপি জমা দিতে হবে।

কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়:

  • নাম পরিবর্তনের বিষয়ে আইনি পরামর্শ নেওয়া উচিত।
  • হলফনামায় সঠিক তথ্য প্রদান করা আবশ্যক।
  • নাম পরিবর্তনের ফলে সকল প্রয়োজনীয় দলিলে নাম পরিবর্তন করতে হবে।

নাম সংশোধনের হলফনামা একটি সহজ প্রক্রিয়া যা আপনাকে আপনার পছন্দের নাম ধারণ করতে সাহায্য করতে পারে।

বাংলাদেশে নিজের বা অন্যকে সংশোধনের জন্য হলফনামা প্রয়োজন হয়। নিচে কিছু প্রশ্ন এবং উত্তর দেওয়া হলঃ

১. নিজের নাম সংশোধনের জন্য কি করণীয়?
উত্তরঃ নিজের নাম সংশোধনের জন্য প্রথমে জন্মনিবন্ধন নম্বর, পাসপোর্ট সাইজের নতুন ছবি, মোবাইল নম্বর, ঠিকানা ইত্যাদি সম্পর্কিত তথ্য সহ হলফনামা দাখিল করতে হবে।

২. অন্যকে নাম সংশোধনের জন্য কি প্রয়োজন?
উত্তরঃ অন্যকে নাম সংশোধনের জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি একটি লিখিত আবেদন করতে পারেন এবং এটি নিজের হাতের লেখা হতে হবে। সাথে থাকতে হবে বর্তমান নাম, নতুন নাম, আইডি কার্ড নম্বর, স্বাক্ষর ইত্যাদি। সেই প্রতিবেদনটি হলফনামা সহ জমা দিতে হবে।

৩. হলফনামা সংশোধন করার সময় কতটা সময় লাগে?
হলফনামা সংশোধন করার সময় সাধারণত কিছু মিনিট লাগে, যদিও এটা কখনো আপনার পুর্বে প্রদত্ত সংশোধন বা নাম সম্পর্কিত তথ্যের উপর নির্ভর করে বেশ কিছু সময় লাগতে পারে। যেমন, আপনি যদি একটি নাম সম্পর্কিত তথ্য সংশোধন করতে চান যা আপনার সন্তান এর নামের সাথে সম্পর্কিত হবে, তবে এর জন্য আপনাকে নাম সংশোধন ফরম সম্পন্ন করতে হবে এবং তা বিবেচনার জন্য কিছু দিনের মধ্যেই একটি কার্যক্রম শুরু করা হবে।


মাতার/ পিতা নাম ও বয়স সংশোধান হলফনামা

মাতার নাম ও বয়স সংশোধন সম্পর্কিত হলফনামা কি?
মাতার নাম ও বয়স সংশোধন সম্পর্কিত হলফনামা হল একটি আইনগত দলিল যা কোনো ব্যক্তি বা সরকারী প্রতিষ্ঠান বা প্রাইভেট কোম্পানি মাতার নাম ও বয়স সংশোধন করতে পারে।

কে কে মাতার নাম ও বয়স সংশোধন করতে পারেন?
কোনো ব্যক্তি যদি নিজের মাতার নাম বা বয়স সংশোধন করতে চান তবে তিনি নিজেই হলফনামা দাখিল করতে পারেন। সরকারী প্রতিষ্ঠান বা প্রাইভেট কোম্পানি মাতার নাম বা বয়স সংশোধন করতে চাইলে তারা তাদের সম্পর্কিত হলফনামা দাখিল করতে পারেন।

হলফনামা দাখিলের জন্য কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন?

১. একটি ছবি যা হলফনামা দাখিলকারীর পাশে একটি নোটারি পাসপোর্ট সাইজের ফটো থাকবে।
২. হলফনামার অবস্থানস্থানের সনদপত্র বা বাসার কাগজপত্র যেমন বিদ্যুৎ বিল, বাকিতে সরকারী দায়িত্ব সম্পাদন প্রমাণপত্র, বা ভূমিহীন মালিকানার ক্ষেত্রে লেজার আদি কাগজপত্র।
৩. নথি পাঠানোর জন্য সঠিকভাবে পূর্ণ হওয়া হল হলফনামা প্রতিলিপি বা কপি।
৪. যেকোন প্রকার সরকারি পরিচয়পত্র বা যোগ্যতা প্রমাণকারী কাগজপত্র।

সেইসাথে, হলফনামা দাখিলের জন্য দরকারী কাগজপত্রগুলো সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত করতে হবে।

0 Comments:

BDFile Telegram channel