বাংলাদেশে একাধিক রুম বন্ধকী সম্পর্কে সরকার একটি আইন প্রণোদন করেছে যা নামভেদে “একাধিক করদাতার জন্য কর ও আয়কর আইন, ১৯৮৪”। এই আইনের নির্দেশানুসারে একাধিক রুম বন্ধকী সম্পর্কিত নিম্নোক্ত তথ্য সংযোজন করা হলোঃ
একাধিক রুম বন্ধকী হল সেই ধরণের বন্ধকী যেখানে দুই বা ততোধিক কক্ষ একটি ফ্ল্যাট বা বাড়ির মধ্যে থাকে এবং সকল কক্ষকে একটি করে দুই দিক হতে বন্ধ করা হয়। এই ধরনের বন্ধকী প্রায় সকল বাড়ি বা ফ্ল্যাটে ব্যবহৃত হয় যাতে একটি কক্ষে থাকা লোক অন্য কক্ষে প্রবেশ করতে না পারে। সাধারণত এই বন্ধকীতে দুই স্থানে একটি দরজা দেওয়া থাকে যার মাধ্যমে কক্ষে প্রবেশ করা হয়।
একাধিক রুম বন্ধকীর জন্য সাধারণত একটি চুক্তি অবলম্বন করতে হয়। এই চুক্তিতে নির্দেশিত হয় যে একটি কক্ষ থেকে অন্য কক্ষে সরবরাহকৃত যে কোন সেবা অবিলম্বে নেওয়া যাবে কিন্তু একটি কক্ষে থাকা লোক অন্য কক্ষে প্রবেশ করতে পারবে না।
রুম বন্ধকী দলিল হলো একটি আইনি চুক্তি যার মাধ্যমে একজন ব্যক্তি (বন্ধকদাতা) ঋণের পরিবর্তে তার রুমের মালিকানার অধিকার ঋণদাতার কাছে বন্ধক রাখে। ঋণ পরিশোধের পর, বন্ধকদাতা তার রুমের মালিকানার অধিকার ফিরে পান।
Room Bandhaki Dalil যারা রুম বন্ধকী দলিলের প্রয়োজন:
- যাদের ঋণের প্রয়োজন আছে কিন্তু অন্য কোনো সম্পত্তি বন্ধক রাখতে চান না।
- যাদের আয়ের পরিমাণ কম এবং ঋণের জন্য অন্য কোনো বিকল্প নেই।
- যারা দ্রুত ঋণের প্রয়োজন আছে।
রুম বন্ধকী দলিলের সুবিধা:
- ঋণের জন্য অন্য কোনো সম্পত্তি বন্ধক রাখার প্রয়োজন নেই।
- ঋণের পরিমাণ রুমের মূল্যের উপর নির্ভর করে।
- ঋণের সুদের হার তুলনামূলকভাবে কম।
- ঋণের মেয়াদ দীর্ঘ।
রুম বন্ধকী দলিল করার জন্য যা যা লাগবে:
- ঋণের আবেদনপত্র
- জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি
- রুমের মালিকানার দলিলের ফটোকপি
- রুমের মূল্য নির্ধারণের জন্য একজন মূল্যায়নকারীর প্রতিবেদন
- ঋণের পরিমাণের জন্য একটি চেক
Room Mortgage Deed রুম বন্ধকী দলিল করার প্রক্রিয়া:
- ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানে একটি ঋণের আবেদনপত্র জমা দিতে হবে।
- ঋণের আবেদনপত্রের সাথে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হবে।
- ঋণদাতা প্রতিষ্ঠান ঋণের আবেদনপত্র যাচাই-বাছাই করবে।
- ঋণের আবেদনপত্র অনুমোদিত হলে, ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানের সাথে একটি রুম বন্ধকী দলিল স্বাক্ষর করতে হবে।
- ঋণের পরিমাণ ঋণদাতা প্রতিষ্ঠান থেকে বন্ধকদাতার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা করা হবে।
রুম বন্ধকী দলিল করার আগে যে বিষয়গুলো মনে রাখতে হবে:
- ঋণের সুদের হার কত তা ভালো করে জেনে নিতে হবে।
- ঋণের মেয়াদ কত তা ভালো করে জেনে নিতে হবে।
- ঋণের পরিশোধের জন্য কত টাকা EMI হবে তা ভালো করে জেনে নিতে হবে।
- ঋণের সাথে কোনো লুকানো খরচ আছে কিনা তা ভালো করে জেনে নিতে হবে।
রুম বন্ধকী দলিল ঋণের একটি ভালো বিকল্প হতে পারে। তবে ঋণ নেওয়ার আগে ঋণের সুদের হার, ঋণের মেয়াদ, ঋণের পরিশোধের EMI এবং ঋণের সাথে কোনো লুকানো খরচ আছে কিনা তা ভালো করে জেনে নেওয়া উচিত।
0 Comments: