ঋন গ্রহনের অঙ্গীকারনামা হল একটি চুক্তিপত্র যা ঋন গ্রহণকারী একটি ব্যক্তি এবং ঋণ প্রদানকারী একটি প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির মধ্যে সম্পাদিত হয়। এই চুক্তিপত্রে উল্লেখ থাকে ঋণের পরিমাণ, মেয়াদ, মুদ্রা বিনিময়ের হার, শুল্ক, সময়সীমা ইত্যাদি শর্তাদি। এছাড়াও ঋণ প্রদানের জন্য সংগঠন বা ব্যক্তি থেকে আবেদনকারীর কিছু সংশোধনের অনুরোধ থাকতে পারে।
ঋণ গ্রহণের অঙ্গীকারনামা দলিল হলো ঋণদাতা ও ঋণগ্রহীতার মধ্যে ঋণের শর্তাবলী লিপিবদ্ধ একটি আইনি চুক্তি। এতে ঋণের পরিমাণ, সুদের হার, পরিশোধের সময়সীমা, জামানতের বিবরণ, এবং ঋণ লঙ্ঘনের পরিণতি স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকে।
Promissory Note Of Undertaking কাদের প্রয়োজন:
- ব্যক্তিগত ঋণ গ্রহণের জন্য: যারা ব্যক্তিগত কাজের জন্য ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ গ্রহণ করে তাদের এই দলিল প্রয়োজন।
- ব্যবসায়িক ঋণ গ্রহণের জন্য: যারা ব্যবসার জন্য ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ গ্রহণ করে তাদের এই দলিল প্রয়োজন।
- জমি ক্রয়/গৃহ নির্মাণ/ফ্ল্যাট ক্রয়/গাড়ি ক্রয় ঋণের জন্য: যারা জমি ক্রয়, গৃহ নির্মাণ, ফ্ল্যাট ক্রয়, বা গাড়ি ক্রয়ের জন্য ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ গ্রহণ করে তাদের এই দলিল প্রয়োজন।
Rin Grohoner Ongikaronama Dolil সুবিধা:
- ঋণের শর্তাবলী স্পষ্টভাবে লিপিবদ্ধ থাকায় ঋণদাতা ও ঋণগ্রহীতার মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি এড়ানো যায়।
- ঋণ লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া সহজ হয়।
- ঋণগ্রহীতা ঋণের বিরুদ্ধে জামানত দিতে পারে, যা ঋণদাতার ঝুঁকি কমিয়ে দেয়।
করতে সাথে কি কি লাগবে:
- ঋণগ্রহীতার পরিচয়পত্র (জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স)
- ঋণগ্রহীতার ঠিকানা প্রমাণপত্র (বিদ্যুৎ/গ্যাস/পানি/টেলিফোন বিল)
- ঋণের উদ্দেশ্য সম্পর্কিত প্রমাণপত্র (জমি ক্রয়ের জন্য দলিল, গৃহ নির্মাণের জন্য নকশা, ফ্ল্যাট ক্রয়ের জন্য চুক্তি)
- জামানতের বিবরণ (যদি থাকে)
- ঋণের পরিমাণ ও সুদের হার সম্পর্কিত তথ্য
ঋণ প্রদান ও পরিশোধের চুক্তি কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়:
- ঋণ গ্রহণের অঙ্গীকারনামা দলিল সাবধানে পড়ে এবং বুঝে স্বাক্ষর করুন।
- ঋণের শর্তাবলী সম্পর্কে অস্পষ্ট ধারণা থাকলে আইনজীবীর পরামর্শ নিন।
- ঋণ পরিশোধে অসুবিধা হলে ঋণদাতার সাথে যোগাযোগ করে সমাধানের চেষ্টা করুন।
এই দলিল সম্পর্কে আরও তথ্যের জন্য আপনার নিকটবর্তী ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।
ঋণ গ্রহনের অঙ্গীকারনামা হল এমন একটি নথি যাতে ঋণগ্রহীতা ঋণদাতাকে ঋণ পরিশোধের প্রতিশ্রুতি দেয়। এই নথিতে ঋণের পরিমাণ, সুদের হার, কিস্তির পরিমাণ, এবং কিস্তি পরিশোধের সময়সূচী উল্লেখ থাকে।
ঋণ গ্রহনের অঙ্গীকারনামা একটি গুরুত্বপূর্ণ নথি কারণ এটি ঋণদাতা এবং ঋণগ্রহীতার মধ্যে একটি আইনি চুক্তি। এই চুক্তির মাধ্যমে ঋণদাতা ঋণগ্রহীতাকে ঋণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয় এবং ঋণগ্রহীতা ঋণ পরিশোধের প্রতিশ্রুতি দেয়।
ঋণ গ্রহনের অঙ্গীকারনামা সাধারণত ঋণদাতা বা ঋণগ্রহীতার আইনজীবী দ্বারা তৈরি করা হয়। এই নথিতে নিম্নলিখিত তথ্যগুলি উল্লেখ থাকে:
- ঋণগ্রহীতার নাম, ঠিকানা, এবং পরিচয়পত্রের নম্বর
- ঋণের পরিমাণ
- সুদের হার
- কিস্তির পরিমাণ
- কিস্তি পরিশোধের সময়সূচী
- ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হলে কি হবে
ঋণ গ্রহনের অঙ্গীকারনামা স্বাক্ষর করার আগে ঋণগ্রহীতার উচিত নথিটি সাবধানে পড়া এবং বুঝে নেওয়া। ঋণগ্রহীতা যদি নথিতে উল্লেখিত শর্তাবলী মেনে নিতে না পারেন, তাহলে তাকে ঋণ গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকা উচিত।
ঋণ গ্রহনের অঙ্গীকারনামা সম্পাদনের সময় যে বিষয়গুলি খেয়াল রাখতে হবে:
- ঋণের পরিমাণ এবং সুদের হার সঠিকভাবে উল্লেখ করা হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করুন।
- কিস্তির পরিমাণ এবং কিস্তি পরিশোধের সময়সূচী আপনার আর্থিক সামর্থ্যের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ কিনা তা নিশ্চিত করুন।
- ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হলে কি হবে তা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করুন।
ঋণ গ্রহনের অঙ্গীকারনামা স্বাক্ষর করার পর:
- ঋণ গ্রহনের অঙ্গীকারনামার একটি কপি আপনার কাছে রাখুন।
- ঋণদাতাকে ঋণ গ্রহনের অঙ্গীকারনামার একটি কপি পাঠান।
ঋণ গ্রহনের অঙ্গীকারনামা একটি গুরুত্বপূর্ণ নথি যা ঋণদাতা এবং ঋণগ্রহীতার মধ্যে একটি আইনি চুক্তি। এই নথিটি সাবধানে পড়া এবং সম্পাদন করা উচিত।
0 Comments: