২০ ডিসে, ২০২৩

সার্টিফিকেট সংশোধনীয় এ্যফিডেভিট (Word File) Certificate Amendment Affidavit

সার্টিফিকেট সংশোধনীয় এ্যফিডেভিট (Word File) Certificate Amendment Affidavit

সার্টিফিকেট সংশোধনীয় এফিডেভিট হলো একটি ডকুমেন্ট বা লেখা যা সার্টিফিকেটধারীর তথ্য বা সার্টিফিকেটের কোন বিষয়ে সংশোধন করার জন্য ব্যবহৃত হয়। এফিডেভিট হলো একটি কার্যকর লেখা যা সাধারণত একজন স্বীকৃত শাহাদাতপত্র বা প্রত্যয়ন করে যায়। এই লেখা সাধারণত নিয়মিত নোটারাইজড হয় এবং একজন স্বীকৃত নোটারী পাশে থাকার পর প্রতিটি কার্যকর হয়।

সার্টিফিকেট সংশোধনীয় এফিডেভিট সাধারণত সার্টিফিকেটের যে কোন তথ্য সংশোধনের জন্য ব্যবহৃত হয়। যেমন কখনো কখনো কোন ব্যক্তির নাম বা উপাধি পরিবর্তন হয়ে যায় এবং সেই সার্টিফিকেটে তা আপডেট করা লাগে।


সার্টিফিকেট সংশোধনীয় এ্যফিডেভিট নমুনা







সার্টিফিকেট সংশোধনীয় এ্যফিডেভিট হলো একটি আইনি নথি যা শিক্ষাগত সনদপত্রে (যেমন: এসএসসি, এইচএসসি, সার্টিফিকেট কোর্স) ভুল তথ্য সংশোধনের জন্য ব্যবহার করা হয়।

কাদের প্রয়োজন:

  • যাদের সনদপত্রে নাম, পিতা/মাতার নাম, জন্ম তারিখ, জন্ম স্থান, পরীক্ষার সাল, রোল নম্বর ইত্যাদিতে ভুল থাকে।
  • যারা তাদের নাম পরিবর্তন করেছেন এবং নতুন নাম সনদপত্রে অন্তর্ভুক্ত করতে চান।
  • যারা তাদের সনদপত্রে ভুল তথ্যের কারণে চাকরি, ভর্তি, পাসপোর্ট তৈরি, ঋণ আবেদন ইত্যাদিতে সমস্যার সম্মুখীন হন।

Certificate Sanshodhaniya Affidavit সুবিধা:

  • সনদপত্রে ভুল তথ্য সংশোধন করে আইনি জটিলতা এড়াতে সাহায্য করে।
  • চাকরি, ভর্তি, পাসপোর্ট তৈরি, ঋণ আবেদন ইত্যাদিতে সুবিধা প্রদান করে।
  • ভুল তথ্যের কারণে সৃষ্ট মানসিক চাপ ও ঝামেলা থেকে মুক্তি দেয়।

Certificate Amendment Affidavit করতে সাথে কি কি লাগবে:

  • ভুল তথ্যযুক্ত সনদপত্রের মূল কপি
  • সংশোধিত তথ্যের প্রমাণ (যেমন: জন্ম সনদ, নাম পরিবর্তনের গেজেট, বিবাহের সনদপত্র ইত্যাদি)
  • নোটারি পাবলিকের স্বাক্ষরিত এ্যফিডেভিট
  • দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি
  • আবেদন ফি

Certificate Sanshodhaniya Affidavit কিভাবে আবেদন করবেন:

  • প্রথমে একটি নোটারি পাবলিকের কাছে গিয়ে ভুল তথ্য সংশোধনের জন্য এ্যফিডেভিট তৈরি করতে হবে।
  • এ্যফিডেভিটে ভুল তথ্য, সংশোধিত তথ্য, প্রমাণের তথ্য, আবেদনকারীর নাম, ঠিকানা, যোগাযোগের তথ্য ইত্যাদি স্পষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে।
  • এ্যফিডেভিট তৈরির পর সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ড/বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকে আবেদন ফর্ম ডাউনলোড করে প্রিন্ট করতে হবে।
  • আবেদন ফর্ম পূরণ করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংযুক্ত করে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ড/বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্ধারিত ঠিকানায় জমা দিতে হবে।

Certificate Amendment Affidavit প্রক্রিয়াকরণের সময়:

আবেদন জমা দেওয়ার পর সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ড/বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আবেদনটি যাচাই-বাছাই করবে। যাচাই-বাছাই শেষে আবেদনটি গ্রহণযোগ্য হলে সনদপত্রে ভুল তথ্য সংশোধন করে নতুন সনদপত্র প্রদান করা হবে। প্রক্রিয়াকরণের সময় সাধারণত ১৫-৩০ দিন সময় লাগে।


বাংলাদেশে সার্টিফিকেট সংশোধনীয় এফিডেভিট সম্পর্কিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন এবং উত্তর হলো:

১. সার্টিফিকেট সংশোধনীয় এফিডেভিট কি?
উত্তর: সার্টিফিকেট সংশোধনীয় এফিডেভিট হলো সার্টিফিকেটের কোন তথ্য সংশোধনের জন্য প্রয়োজনীয় একটি ডকুমেন্ট বা লেখা।

২. সার্টিফিকেট সংশোধনীয় এফিডেভিট কেন প্রয়োজন?
উত্তর: সার্টিফিকেট সংশোধনীয় এফিডেভিট দরকার হয় যখন কোন ব্যক্তির নাম, উপাধি বা অন্যান্য তথ্য পরিবর্তন হয় এবং সেই সার্টিফিকেটে আপডেট করা লাগে।

৩. সার্টিফিকেট সংশোধনীয় এফিডেভিট কিভাবে তৈরি করা হয়?
উত্তর: সার্টিফিকেট সংশোধনীয় এফিডেভিট একটি কার্যকর লেখা যা নোটারাইজড হয়। একজন নোটারী লিখে দেওয়া এফিডেভিট প্রমাণিত। যখন একজন ব্যক্তি কোন সার্টিফিকেটের উপর কোন তথ্য সংশোধন করতে চায়। একটি সংশোধনীয় এফিডেভিট তৈরি করা লাগবে যেখানে সে নতুন তথ্য প্রদান করবে এবং এফিডেভিট নোটারাইজড করার জন্য নোটারী দ্বারা সমর্থিত হতে হবে।

৪. সার্টিফিকেট সংশোধনীয় এফিডেভিট কোথায় জমা দিতে হবে?
উত্তর: সার্টিফিকেট সংশোধনীয় এফিডেভিট প্রথমেই যে স্থানে সংশোধন করতে হবে সেই সার্টিফিকেটের নোটারাইজড কপি তৈরি করতে হবে। এটি নোটারির কাছে দিতে হবে যে স্থানে সংশোধন করা হয়েছে। নোটারী সংশোধনীয় এফিডেভিট নোটারাইজড করবেন। তারপর সংশোধিত সার্টিফিকেটটি আবার ওয়েবসাইট বা কোন অন্য স্থানে জমা দেওয়া যাবে।

0 Comments:

BDFile Telegram channel