বন্ধকী নামা হল একটি দলিল বা লিগাল ডকুমেন্ট যা ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যারা ঘর, জমি, বা অন্যান্য সম্পত্তি বন্ধক করেছেন, তাদের নাম রেখে তাদের সম্পত্তির প্রতি কোনো বিক্রয়, উদ্ধার, বিনিময়, বিন্যাস, দান অথবা হস্তান্তর করার পূর্বে সরকারি কর্তৃক নির্ধারিত শর্তগুলি অনুসরণ করে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সাথে অবদানকারী হলে। এটি অন্যতম একটি সম্পত্তি ট্রান্সফার ডকুমেন্ট যা বিক্রেতার সম্পত্তির মালিকানাধীন একটি আইটেম বা সমস্ত সম্পত্তির বিক্রয়ের পূর্বে ক্রেতার নাম এবং সম্পত্তির বিবরণ উল্লেখ করে থাকে।
বন্ধকী নামা দলিল হচ্ছে একটি আইনি চুক্তি যা ঋণদাতা এবং ঋণগ্রহীতার মধ্যে সম্পাদিত হয়। এই চুক্তির মাধ্যমে ঋণগ্রহীতা ঋণ পরিশোধের নিশ্চয়তা হিসেবে ঋণদাতার কাছে নির্দিষ্ট সম্পত্তির মালিকানা স্থানান্তর করে। ঋণ পরিশোধের পর ঋণদাতা ঐ সম্পত্তির মালিকানা ঋণগ্রহীতাকে ফেরত দিয়ে দেয়।
bandhaki nama dolil কাদের প্রয়োজন
- যারা ঋণ নিতে চায় এবং ঋণ পরিশোধের নিশ্চয়তা হিসেবে সম্পত্তি বন্ধক রাখতে চায়।
- যারা ঋণ দিতে চায় এবং ঋণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চায়।
বন্ধকী নামার সুবিধা
- ঋণগ্রহীতা ঋণ নিতে পারে।
- ঋণদাতা ঋণের নিরাপত্তা পায়।
বন্ধকী নামা করতে কি কি লাগবে
- ঋণগ্রহীতা এবং ঋণদাতার পূর্ণ নাম, ঠিকানা এবং পরিচয়।
- ঋণের পরিমাণ, সুদের হার এবং পরিশোধের শর্তাবলী।
- বন্ধক রাখা সম্পত্তির বিবরণ, মূল্য এবং মালিকানার দলিল।
- দুইজন সাক্ষীর স্বাক্ষর।
বন্ধকী নামা করার প্রক্রিয়া
- একজন আইনজীবীর সাথে পরামর্শ করে বন্ধকী নামার খসড়া তৈরি করুন।
- খসড়া চুক্তিতে ঋণগ্রহীতা, ঋণদাতা এবং সাক্ষীরা স্বাক্ষর করুন।
- স্বাক্ষরিত চুক্তি সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে নিবন্ধন করুন।
বন্ধকী নামা সম্পর্কে সতর্কতা
- বন্ধকী নামা করার আগে একজন আইনজীবীর সাথে পরামর্শ করুন।
- চুক্তির শর্তাবলী সাবধানে পড়ুন এবং বুঝুন।
- চুক্তিতে স্বাক্ষর করার আগে সমস্ত কাগজপত্র যাচাই করে নিন।
আরও তথ্যের জন্য
- আপনার নিকটবর্তী আইনজীবীর সাথে যোগাযোগ করুন।
- বাংলাদেশ সরকারের আইন ও বিচার মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট দেখুন।
বিঃদ্রঃ এই নিবন্ধটি শুধুমাত্র সাধারণ তথ্য সরবরাহ করে। এটি আইনি পরামর্শ হিসেবে গণ্য হবে না। বন্ধকী নামা করার আগে একজন আইনজীবীর সাথে পরামর্শ করুন।
0 Comments: