ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) নগরবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বাড়িওয়ালা, ভাড়াটিয়া ও মেস সদস্যদের তথ্য নিবন্ধনের কার্যক্রম শুরু করেছে। এই কার্যক্রমের আওতায় ঢাকা মহানগরের প্রত্যেক থানা ও ফাঁড়িতে ভাড়াটিয়া নিবন্ধন ফরম পাওয়া যায়।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ভাড়াটিয়া নিবন্ধন ফরম ডাউনলোড করুন। ফরমটি পূরণ করে ঢাকা মহানগরের যেকোনো থানা বা ফাঁড়িতে জমা দিন। ফরম পূরণের মাধ্যমে আপনার নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন।
ভাড়াটিয়া নিবন্ধন ফরম পূরণের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:
- ভাড়াটিয়ার একটি কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি
- ভাড়াটিয়ার জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি
- ভাড়াটিয়ার শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্রের ফটোকপি
- ভাড়াটিয়ার চাকরির সনদপত্রের ফটোকপি (যদি থাকে)
- ভাড়াটিয়ার ব্যাংকের চেকবুক/এটিএম কার্ডের ফটোকপি (যদি থাকে)
ভাড়াটিয়া নিবন্ধন ফরম পূরণের নিয়ম:
প্রথম অংশ:
- ভাড়াটিয়ার নাম: ভাড়াটিয়ার পুরো নাম, যেমন "মোহাম্মদ আব্দুল হামিদ"।
- পিতার নাম: ভাড়াটিয়ার পিতার পুরো নাম।
- মাতার নাম: ভাড়াটিয়ার মাতার পুরো নাম।
- জন্ম তারিখ: ভাড়াটিয়ার জন্ম তারিখ, যেমন "১৯৯০-০১-০১"।
- ঠিকানা: ভাড়াটিয়ার বর্তমান ঠিকানা, যেমন "১২৩, শান্তি নগর, ঢাকা"।
- জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর: ভাড়াটিয়ার জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর।
- শিক্ষাগত যোগ্যতা: ভাড়াটিয়ার সর্বোচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতা, যেমন "স্নাতক"।
- চাকরির স্থায়িত্ব: ভাড়াটিয়ার চাকরির স্থায়িত্ব, যেমন "১০ বছর"।
- মাসিক আয়: ভাড়াটিয়ার মাসিক আয়।
- বিবাহিত হলে স্ত্রীর নাম: ভাড়াটিয়ার বিবাহিত হলে স্ত্রীর নাম।
- সন্তানদের নাম: ভাড়াটিয়ার সন্তানদের নাম।
- পেশা: ভাড়াটিয়ার পেশা, যেমন "শিক্ষক"।
দ্বিতীয় অংশ:
- ভাড়া নেওয়া বাড়ির ঠিকানা: ভাড়াটিয়ার ভাড়া নেওয়া বাড়ির ঠিকানা, যেমন "৪৫৬, বনানী, ঢাকা"।
- ভাড়ার পরিমাণ: ভাড়ার পরিমাণ, যেমন "৫০,০০০ টাকা"।
- ভাড়ার মেয়াদ: ভাড়ার মেয়াদ, যেমন "১ বছর"।
তৃতীয় অংশ:
- ভাড়াটিয়ার বাড়িওয়ালার নাম: ভাড়াটিয়ার বাড়িওয়ালার পুরো নাম।
- পিতার নাম: ভাড়াটিয়ার বাড়িওয়ালার পিতার পুরো নাম।
- মাতার নাম: ভাড়াটিয়ার বাড়িওয়ালার মাতার পুরো নাম।
- জন্ম তারিখ: ভাড়াটিয়ার বাড়িওয়ালার জন্ম তারিখ।
- ঠিকানা: ভাড়াটিয়ার বাড়িওয়ালার বর্তমান ঠিকানা।
- জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর: ভাড়াটিয়ার বাড়িওয়ালার জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর।
- পেশা: ভাড়াটিয়ার বাড়িওয়ালার পেশা।
ভাড়াটিয়া নিবন্ধন ফরম পূরণের সুবিধা:
ভাড়াটিয়া নিবন্ধন ফরম পূরণের মাধ্যমে ভাড়াটিয়াদের তথ্য ডিএমপির একটি কেন্দ্রীয় ডাটাবেজে সংরক্ষিত হয়। এই ডাটাবেজ ব্যবহার করে ডিএমপি অপরাধীদের শনাক্তকরণ ও গ্রেফতারের ক্ষেত্রে সহায়তা পেতে পারে।
ভাড়াটিয়া নিবন্ধন ফরম পূরণের মাধ্যমে ভাড়াটিয়াদের নিরাপত্তা বৃদ্ধি পায়। কারণ, ডিএমপির কাছে ভাড়াটিয়াদের তথ্য থাকলে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার শিকার হলে দ্রুত তাদের খুঁজে পাওয়া যাবে।
ভাড়াটিয়া নিবন্ধন ফরম পূরণের মাধ্যমে ভাড়াটিয়াদের ভাড়া নিয়ে ঝামেলা এড়াতে পারে। কারণ, ভাড়া চুক্তি হওয়ার সময় ফরমের একটি কপি ভাড়াটিয়ার কাছে রাখা হয়, যা ভবিষ্যতে ভাড়া নিয়ে কোনো বিরোধ হলে প্রমাণ হিসেবে কাজে আসবে।
- ভাড়াটিয়া নিবন্ধন ফরম ঢাকা মহানগরের যেকোনো থানা বা ফাঁড়ি থেকে সংগ্রহ করা যায়।n
- ফরমটি সংগ্রহ করে যথাযথভাবে পূরণ করতে হবে।
- পূরণ করা ফরমটি সংশ্লিষ্ট থানা বা ফাঁড়িতে জমা দিতে হবে।
- ফরম জমা দেওয়ার সময় ভাড়াটিয়া নিবন্ধন ফি দিতে হবে।
- ফরম জমা দেওয়ার পর ডিএমপি ভাড়াটিয়ার তথ্য যাচাই করে এবং ভাড়াটিয়া নিবন্ধন কার্ড প্রদান করে।
ভাড়াটিয়া নিবন্ধন ফি:
- ঢাকার আবাসিক এলাকার জন্য ভাড়াটিয়া নিবন্ধন ফি ১০০ টাকা।
- ঢাকার বাণিজ্যিক এলাকার জন্য ভাড়াটিয়া নিবন্ধন ফি ২০০ টাকা।
শেষ কথা:
ঢাকা মহানগরীতে বসবাসরত সকল ভাড়াটিয়াদের ডিএমপির ভাড়াটিয়া নিবন্ধন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করা উচিত। এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের মাধ্যমে ভাড়াটিয়ারা নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারেন এবং ভাড়া নিয়ে ঝামেলা এড়াতে পারেন।
আশা করি এই নিবন্ধনটি আপনাকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ভাড়াটিয়া নিবন্ধন ফরম পূরণের বিষয়ে সার্বিক ধারণা দিয়েছে। যদি আপনার কোনো প্রশ্ন থাকে, তাহলে দয়া করে কমেন্ট করুন।
0 Comments: