বাংলাদেশে মুসলিম বিবাহ ও তালাক নিবন্ধন বিধিমালা অনুসারে, একজন মুসলিম ব্যক্তি তার স্ত্রীকে তালাক দিতে চাইলে তাকে লিখিতভাবে তালাকের ঘোষণা দিতে হবে। এই ঘোষণাটি একটি সরকারি রেজিস্ট্রার অফিসে রেজিস্ট্রি করতে হবে। রেজিস্ট্রির জন্য একটি নির্দিষ্ট ফর্ম রয়েছে, যা ফরম নং ১৬০৫ (ফরম 'বি') নামে পরিচিত। এই ফর্মে তালাকদাতা ও তালাকপ্রাপ্তার নাম, পরিচয়, বিবাহের তারিখ, তালাক দেওয়ার তারিখ, তালাক দেওয়ার কারণ ইত্যাদি তথ্য উল্লেখ করতে হয়।
ফরম নং ১৬০৫-এর 'ডি' চিহ্নিত ৪নং রেজিষ্টারী বহির দাখেলার নকল হলো তালাকদাতা ও তালাকপ্রাপ্তার নাম, পরিচয়, বিবাহের তারিখ, তালাক দেওয়ার তারিখ, তালাক দেওয়ার কারণ ইত্যাদি তথ্য সম্বলিত একটি নথি। এই নথিটি রেজিস্ট্রার অফিসে রেজিস্ট্রিকৃত তালাকদাতার ও তালাকপ্রাপ্তার স্বাক্ষর ও সিলমোহর দ্বারা সত্যায়িত।
তাহলে, সরকারি তালাকের-তফউইজের ডি চিহ্নিত ৪নং রেজিষ্টারী বহির দাখেলার নকল হলো একটি সরকারি নথি যা তালাকদাতা ও তালাকপ্রাপ্তার নাম, পরিচয়, বিবাহের তারিখ, তালাক দেওয়ার তারিখ, তালাক দেওয়ার কারণ ইত্যাদি তথ্য সম্বলিত। এই নথিটি তালাকদাতা ও তালাকপ্রাপ্তার স্বাক্ষর ও সিলমোহর দ্বারা সত্যায়িত।
সরকারি তালাকের-তফউইজের ডি চিহ্নিত ৪নং রেজিষ্টারী বহির দাখেলা হলো একটি আইনি দলিল যা মুসলিম বিবাহ ও তালাক অধ্যাদেশ, ১৯৬১-এর বিধি ৫২ অনুসারে নিবন্ধিত হয়। এই দলিলে একজন স্বামী তার স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার ঘোষণা করে।
এই দলিলের নকল করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। বাংলাদেশ দণ্ডবিধির ১৮৬০ সালের ৪৮৯ ধারা অনুসারে, সরকারি দলিলের নকল করা অপরাধের শাস্তি হলো দুই বছরের কারাদণ্ড বা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড।
তালাকের-তফউইজের ডি চিহ্নিত ৪নং রেজিষ্টারী বহির দাখেলার নকল করার কিছু কারণ হলো:
- তালাক দেওয়ার ঘোষণা গোপনে রাখার জন্য
- তালাক দেওয়ার প্রমাণ হিসেবে ব্যবহার করার জন্য
- অন্যের নামে তালাক দেওয়ার জন্য
তালাকের-তফউইজের ডি চিহ্নিত ৪নং রেজিষ্টারী বহির দাখেলার নকল করা থেকে বিরত থাকা উচিত। এটি একটি আইনি অপরাধ এবং এর শাস্তি হতে পারে।
এই ফর্মটি সরকারিভাবে নিবন্ধিত না হলে তা নকল হিসেবে বিবেচিত হয়। নকল ফর্ম ব্যবহার করলে তালাকের-তফউইজটি আইনগতভাবে কার্যকর হবে না।
নকল ফর্মের বৈশিষ্ট্য
- ফর্মটিতে সরকারি সীল ও স্বাক্ষর থাকবে না।
- ফর্মটিতে তালাক-তফউইজকারী পক্ষের তথ্য অসম্পূর্ণ বা ভুল থাকতে পারে।
- ফর্মটিতে তালাক-তফউইজের তারিখ বর্তমান তারিখের চেয়ে বেশি হতে পারে।
নকল ফর্ম ব্যবহারের শাস্তি
নকল ফর্ম ব্যবহার করলে তালাক-তফউইজকারী পক্ষ এবং নকলকারী উভয়ই শাস্তিযোগ্য হবেন। তালাক-তফউইজকারী পক্ষের বিরুদ্ধে ৬ মাসের কারাদণ্ড বা ১০,০০০ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে। নকলকারীর বিরুদ্ধে ৩ বছরের কারাদণ্ড বা ২০,০০০ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে।
সতর্কতা
তালাক-তফউইজ নিবন্ধনের ক্ষেত্রে সরকারিভাবে নিবন্ধিত ফর্ম ব্যবহার করা উচিত। নকল ফর্ম ব্যবহার করলে তালাকের-তফউইজটি আইনগতভাবে কার্যকর হবে না এবং শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে।
0 Comments: