কোর্ট ম্যারেজ" শব্দটি বাংলাদেশে ব্যাপকভাবে প্রচলিত, কিন্তু আসলে এর আইনগত কোনো ভিত্তি নেই। অনেকেই মনে করেন কোর্টে গিয়ে হলফনামা করলেই বিয়ে সম্পন্ন হয়ে যায়, কিন্তু বিষয়টি এত সহজ নয়। আজ আমরা জানবো "কোর্ট ম্যারেজ" আসলে কী এবং আইনগতভাবে সঠিক বিয়ের পদ্ধতি কী।
কোর্ট ম্যারেজ: একটি ভুল ধারণা
- আইনে "কোর্ট ম্যারেজ" নামে কোনো বিধান নেই।
- এটি সাধারণত নোটারি পাবলিকের সামনে স্বামী-স্ত্রী যে হলফনামা করেন, তাকেই বোঝায়।
- এই হলফনামা কেবল দম্পতির মধ্যে বিয়ের ঘোষণা মাত্র। এটি আইনগতভাবে বিয়ে সম্পন্ন হওয়ার কোনো স্বীকৃতি দেয় না।
আইনগতভাবে সঠিক বিয়ের পদ্ধতি:
- ধর্মীয় রীতিনীতি: ধর্মীয় বিধিবিধান মেনে স্বীকৃত ধর্মীয় কর্তৃকালের সামনে বিয়ে সম্পন্ন করতে হবে।
- সাক্ষী: বিয়ের সময় দুইজন সাক্ষী উপস্থিত থাকা বাধ্যতামূলক।
- নিবন্ধন: বিয়ে সম্পন্ন হওয়ার পর সংশ্লিষ্ট নিবন্ধন কর্তৃকের কাছে নিবন্ধন করতে হবে।
- প্রয়োজনীয় বয়স: বর ও কনের বয়স আইনগতভাবে নির্ধারিত সীমার মধ্যে হতে হবে।
কোর্ট ম্যারেজের ঝুঁকি:
- আইনগত স্বীকৃতি না থাকায় ভবিষ্যতে বিবাহবিচ্ছেদ, পারিবারিক ঝামেলায় আইনি জটিলতা দেখা দিতে পারে।
- সন্তানদের জন্ম নিবন্ধন ও ভরণপোষণ বিষয়ে সমস্যা হতে পারে।
- বিশেষ করে নারীদের ক্ষেত্রে নির্যাত ও শোষণের শিকার হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
"কোর্ট ম্যারেজ" একটি ভুল ধারণা। সঠিক ও সুষ্ঠ বিয়ে নিশ্চিত করতে আইনগত পদ্ধতি অনুসরণ করে ধর্মীয় রীতিনীতি মেনে বিয়ে সম্পন্ন করা এবং নিবন্ধন করা জরুরি। এতে দম্পতি ও সন্তানদের স্বার্থ রক্ষা পায় এবং আইনি জটিলতা এড়ানো যায়।
কোর্ট ম্যারেজ দলিল নমুনা
ردحذفনাম সিয়াম
حذفGood
حذفকোর্ট ম্যারেজের ফাইল
ردحذف