শহরের খাসমহালের কবুলিয়তের আদর্শ ফরমটি বাংলাদেশ সরকারের ভূমি মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রণয়ন করা হয়েছে। এই ফরমটিতে শহরের খাসমহালের জমি ব্যবহারের জন্য একজন ব্যক্তির সাথে সরকারের মধ্যে একটি চুক্তির বিষয়বস্তু উল্লেখ করা থাকে।
ফরমটির প্রথম অংশে কবুলিদারের নাম, পিতার নাম, ঠিকানা, থানা ও জেলা উল্লেখ করা হয়। দ্বিতীয় অংশে জমির তৌজি নম্বর, উদ্দেশ্য ও পরিমাণ উল্লেখ করা হয়। তৃতীয় অংশে কবুলিদারের দায়িত্ব ও কর্তব্য উল্লেখ করা হয়। চতুর্থ অংশে কবুলিদারের অধিকার ও সুবিধা উল্লেখ করা হয়।
এই ফর্মে উল্লেখিত শর্তাবলী হল:
- কবুলিকারী ব্যক্তিকে জমির মালিকানা দেওয়া হয় না।
- কবুলিকারী ব্যক্তিকে জমির খাজনা দিতে হবে।
- কবুলিকারী ব্যক্তিকে জমিতে কোন ধরনের নির্মাণ বা পরিবর্তন করতে হলে সরকারের অনুমতি নিতে হবে।
- কবুলিকারী ব্যক্তির মৃত্যু হলে তার উত্তরাধিকারীরা জমির অধিকার পাবে।
শহরের খাসমহালের কবুলিয়তের আদর্শ ফর্মটি বাংলাদেশ সরকারের রাজস্ব মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ ভূমি মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রণয়ন করা হয়েছে। এই ফর্মটি বাংলাদেশ ডিস্ট্রিক্ট পলিসি অফিস (ডিপিপি) থেকে সংগ্রহ করা যায়।
কবুলিরীয়ের উদ্দেশ্য
শহরের খাসমহালের কবুলিয়তের উদ্দেশ্য হল সরকারের খাসমহালের জমিকে বসবাস, ব্যবসা, বা অন্যান্য উদ্দেশ্যে ব্যবহারের জন্য ব্যক্তিদের কাছে বরাদ্দ করা। এই ফর্মের মাধ্যমে সরকার নিশ্চিত করতে চায় যে খাসমহালের জমিটি যথাযথভাবে ব্যবহার হচ্ছে এবং সরকারের রাজস্ব আদায় হচ্ছে।
কবুলিরীয়ের শর্তাবলী
শহরের খাসমহালের কবুলিয়তের শর্তাবলী নিম্নরূপ:
- কবুলিকারী ব্যক্তিকে জমির মালিকানা দেওয়া হয় না। জমির মালিকানা সর্বদা সরকারের থাকে।
- কবুলিকারী ব্যক্তিকে জমির খাজনা দিতে হবে। খাজনা নির্ধারণ করে থাকে ভূমি মন্ত্রণালয়।
- কবুলিকারী ব্যক্তিকে জমিতে কোন ধরনের নির্মাণ বা পরিবর্তন করতে হলে সরকারের অনুমতি নিতে হবে।
- কবুলিকারী ব্যক্তির মৃত্যু হলে তার উত্তরাধিকারীরা জমির অধিকার পাবে।
কবুলিরীয়ের বৈধতা
শহরের খাসমহালের কবুলিয়ত একটি আইনি দলিল। এই দলিলটিতে কবুলিকারী ব্যক্তি তার অধিকার এবং কর্তব্য সম্পর্কে অবগত থাকে। তাই এই দলিলটি বৈধ এবং কার্যকর।
কবুলিরীয়ের প্রক্রিয়া
শহরের খাসমহালের কবুলিয়ত করার জন্য কবুলিকারী ব্যক্তিকে নিম্নলিখিত প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে:
- ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ ডিস্ট্রিক্ট পলিসি অফিস (ডিপিপি) থেকে কবুলিরীয়ের ফর্ম সংগ্রহ করতে হবে।
- ফর্মটি সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে।
- ফর্মটিতে স্বাক্ষর করতে হবে।
- ফর্মটিতে জমির মালিকানা সনদ, খাজনা পরিশোধের রশিদ, এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংযুক্ত করতে হবে।
- ফর্মটি ডিপিপি-তে জমা দিতে হবে।
ডিপিপি-তে ফর্ম জমা দেওয়ার পর, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ফর্মটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবেন। ফর্মটি সঠিক হলে, তারা কবুলিকারী ব্যক্তিকে কবুলিরীয়ের নথিপত্র প্রদান করবেন।
0 Comments: