৪ ফেব, ২০২৪

ইউনিয়ন পরিষদের মৃত্যু সনদ নমুনা

ইউনিয়ন পরিষদের মৃত্যু সনদ নমুনা

বাংলাদেশের গ্রামীণ জনজীবনে ইউনিয়ন পরিষদ একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত নানাবিধ কাজে, নানাবিধ সহায়তায় ইউনিয়ন পরিষদ জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে থাকে। এর মধ্যে মৃত্যু সনদ প্রদান একটি গুরুত্বপূর্ণ সেবা। আজ আমরা আলোচনা করব ইউনিয়ন পরিষদের মৃত্যু সনদ কী, কেন প্রয়োজনীয়, এর আবেদন প্রক্রিয়া কেমন এবং এর গুরুত্ব কী।

ইউনিয়ন পরিষদের মৃত্যু সনদ নমুনা




ইউনিয়ন পরিষদের মৃত্যু সনদ কী?

ইউনিয়ন পরিষদের মৃত্যু সনদ হলো একধরনের সরকারি দলিল, যেখানে কোনো ব্যক্তির মৃত্যুর সত্যতা এবং সংশ্লিষ্ট তথ্যাদি লিপিবদ্ধ থাকে। এটি ইউনিয়ন নিবন্ধক কর্তৃক স্বাক্ষরিত ও সীলমোहरযুক্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র।

ইউনিয়ন পরিষদের মৃত্যু সনদ কেন প্রয়োজনীয়?

মৃত ব্যক্তির সম্পদ বণ্টন, পারিবারিক পেনশন, বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্নকরণ, জমিজমা সংক্রান্ত কাজ, বিধবা ভাতা, বীমা দাবি আদায়সহ নানাবিধ কাজে মৃত্যু সনদ প্রয়োজন হয়। এছাড়াও, জাতীয় পরিসংখ্যানের সঠিকতা নিশ্চিত করতেও মৃত্যু নিবন্ধন গুরুত্বপূর্ণ।

ইউনিয়ন পরিষদে মৃত্যু সনদ আবেদন প্রক্রিয়া:

  1. আবেদনকারী: মৃত ব্যক্তির পুত্র, কন্যা, স্বামী, স্ত্রী, পিতা, মাতা, অভিভাবক বা ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মৃত্যু সনদ আবেদন করতে পারেন।
  2. আবেদন ফি: নির্ধারিত ফি প্রদান করতে হবে।
  3. প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:
    • মৃত্যু সংক্রান্ত চিকিৎসকের প্রত্যয়নপত্র / সরকারি স্বাস্থ্যকর্মীর প্রত্যয়নপত্র / হাসপাতালের মৃত্যু রিপোর্ট
    • মৃত ব্যক্তির জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি (থাকলে)
    • আবেদনকারীর জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি
    • মৃত ব্যক্তির মৃত্যুর স্থানের ওয়ার্ড মেম্বারের স্বাক্ষরিত প্রত্যয়নপত্র
    • দুইজন সাক্ষীর স্বাক্ষর ও পরিচয়পত্রের ফটোকপি
  4. আবেদন জমা দেওয়া: ইউনিয়ন পরিষদ নিবন্ধকের কার্যালয়ে আবেদন ফি ও কাগজপত্র সহ আবেদন জমা দিতে হবে।
  5. সনদ গ্রহণ: সকল কাগজপত্র যাচাই-বাছাইয়ের পর নির্ধারিত সময়ে মৃত্যু সনদ গ্রহণ করা যাবে।

কেন প্রয়োজন ইউনিয়ন পরিষদের মৃত্যু সনদ?

মৃত্যুর পর বিভিন্ন আইনগত ও প্রশাসনিক কাজে ইউনিয়ন পরিষদের মৃত্যু সনদটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর প্রয়োজনীয়তা নিম্নরূপ:

  • সম্পত্তি বণ্টন: মৃত ব্যক্তির সম্পত্তি বণ্টনে মৃত্যু সনদটি আইনি প্রমাণ হিসাবে কাজ করে।
  • ওয়ারিশান সনদ: মৃত্যু সনদ ছাড়া ওয়ারিশান সনদ পাওয়া যায় না। ওয়ারিশান সনদ ছাড়া মৃত ব্যক্তির ব্যাংক হিসাব, বীমা ইত্যাদি পাওয়া সম্ভব হয় না।
  • পেনসন ও অন্যান্য সুবিধা: মৃত সরকারি কর্মচারীর পরিবারের পেনসন ও অন্যান্য সুবিধা পাওয়ার জন্য মৃত্যু সনদ লাগে।
  • পাসপোর্ট বাতিল: মৃত ব্যক্তির পাসপোর্ট বাতিল করতেও মৃত্যু সনদ প্রয়োজন।
  • মৃত্যুর কারণ নিরূপণ: কিছু ক্ষেত্রে, যেমন অস্বাভাবিক মৃত্যুর ক্ষেত্রে, তদন্তের জন্য মৃত্যু সনদ প্রয়োজন হয়।

২টি মন্তব্য:

BDFile Telegram channel