ক্রোকের হুকুম হল ফৌজদারি কার্যবিধির ৮৭ ধারার অধীনে আদালত কর্তৃক জারি এক ধরণের আদেশ যার মাধ্যমে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আদালতে উপস্থিত হতে নির্দেশ দেওয়া হয়। যখন অভিযুক্ত ব্যক্তি জামানতে মুক্তি পান অথবা জামিনে মুক্তির পর পলাতক হন, তখন তাকে আদালতে উপস্থিত করার জন্য ক্রোকের হুকুম জারি করা হয়।
অভিযক্তি ব্যক্তিকে উপস্থিত করাইবার নিমিত্ত ক্রোকের হুকুম কাদের প্রয়োজন:
- যখন অভিযুক্ত ব্যক্তি জামানতে মুক্তি পান এবং জামিনের শর্তাবলী পালন করেন না।
- যখন অভিযুক্ত ব্যক্তি জামিনে মুক্তির পর পলাতক হন।
- যখন অভিযুক্ত ব্যক্তি আদালতের জারি করা সমন উপেক্ষা করেন।
ক্রোকের হুকুমের সুবিধা:
- অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আদালতে উপস্থিত করার মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রদান করা সম্ভব হয়।
- পলাতক অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়।
- আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সমাজে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখা সম্ভব হয়।
ক্রোকের হুকুম করার জন্য যা যা লাগবে:
- আদালতে একটি আবেদনপত্র জমা দিতে হবে।
- আবেদনপত্রে অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম, ঠিকানা এবং অন্যান্য বিবরণ উল্লেখ করতে হবে।
- আবেদনপত্রের সাথে অভিযুক্ত ব্যক্তির জামিনের শর্তাবলী লঙ্ঘনের প্রমাণ জমা দিতে হবে।
- আদালত আবেদনপত্রটি বিবেচনা করে ক্রোকের হুকুম জারি করতে পারেন।
ক্রোকের হুকুম জারির পর:
- আদালত কর্তৃক নিযুক্ত একজন কর্মকর্তা অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে উপস্থিত করবেন।
- অভিযুক্ত ব্যক্তিকে জামানতে মুক্তি দেওয়া হবে কিনা তা আদালত পরবর্তী শুনানিতে নির্ধারণ করবেন।
ক্রোকের হুকুম সম্পর্কে আরও জানতে একজন আইনজীবীর সাথে পরামর্শ করা উচিত।
দ্রষ্টব্য: এই নিবন্ধটি কেবলমাত্র তথ্য প্রদানের উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে। এটি আইনি পরামর্শ হিসেবে বিবেচিত হবে না। আইনি বিষয়ে সাহায্যের জন্য একজন আইনজীবীর সাথে পরামর্শ করা উচিত।
0 Comments: