মোটরযান এনডোর্সমেন্ট বলতে বোঝায় বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) কর্তৃক মোটরযানের মালিকানা পরিবর্তনের অনুমোদন প্রদান। যখন একজন মালিক তার মোটরযান অন্য ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে, তখন নতুন মালিকের নামে মোটরযানের রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট (RC) পরিবর্তন করার জন্য এনডোর্সমেন্ট প্রয়োজন হয়।
মোটরযানের রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট হলো একটি গুরুত্বপূর্ণ নথি যা মোটরযানের মালিকানা, মডেল, ইঞ্জিন নম্বর, চ্যাসিস নম্বর এবং অন্যান্য তথ্য প্রদান করে। এটি মোটরযানের আইনি মালিকানা প্রমাণ করে।
ফিটনেস সার্টিফিকেট হলো বিআরটিএ কর্তৃক প্রদত্ত একটি নথি যা নিশ্চিত করে যে মোটরযান সড়কে চলাচলের জন্য নিরাপদ।
প্রতিলিপি সংগ্রহের পদ্ধতি:
- (বিআরটিএ) ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনলাইনে আবেদন করা যাবে।
- (বিআরটিএ) এর যেকোনো কার্যালয়ে গিয়ে সরাসরি আবেদন করা যাবে।
মোটরযান এনডোর্সমেন্টের সুবিধা:
- মোটরযানের আইনি মালিকানা পরিবর্তন নিশ্চিত করে।
- মোটরযানের চুরি রোধে সাহায্য করে।
- মোটরযানের বীমা দাবি করার ক্ষেত্রে সহায়তা করে।
- মোটরযানের রাস্তার কর প্রদানের ক্ষেত্রে সহায়তা করে।
মোটরযান এনডোর্সমেন্টের পদ্ধতি:
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:
- পুরোনো মালিকের স্বাক্ষরিত এনডোর্সমেন্ট ফর্ম (ফর্ম টিসি)
- নতুন মালিকের স্বাক্ষরিত এনডোর্সমেন্ট ফর্ম (ফর্ম টিসি)
- নতুন মালিকের 2 কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি
- নতুন মালিকের জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি
- পুরোনো মালিকের জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি
- মোটরযানের রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেটের মূল কপি
- মোটরযানের ফিটনেস সার্টিফিকেটের মূল কপি
- মোটরযানের ট্যাক্স টোকেনের মূল কপি
- অনলাইনে আবেদন ফি প্রদানের রশিদ
প্রক্রিয়া সময়:
সাধারণত, মোটরযান এনডোর্সমেন্টের প্রক্রিয়া ৭-১০ দিন সময় নেয়। তবে, কাগজপত্রের ত্রুটি বা অন্যান্য জটিলতার কারণে বিলম্ব হতে পারে।
রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) কর্তৃক নির্ধারিত কিছু নিয়মকানুন মেনে চলতে হয়। এর মধ্যে একটি হলো মোটরযান এনডোর্সমেন্ট। মোটরযানের মালিকানা পরিবর্তনের ক্ষেত্রে এনডোর্সমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
0 Comments: