ভোক্তা বলতে বোঝায় এমন ব্যক্তি যিনি কোন পণ্য বা সেবা ক্রয় বা ব্যবহার করেন। জাতীয় ভোক্তা-অধিকার চাহিদাপত্র হলো বাংলাদেশ সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রণীত একটি নীতিমালা যা ভোক্তাদের অধিকার রক্ষা করে। এটি ২০০৯ সালে প্রণয়ন করা হয়েছিল এবং ২০১০ সালে কার্যকর করা হয়েছিল।
চাহিদাপত্রের মূল লক্ষ্য হলো ভোক্তাদের নিম্নলিখিত অধিকার রক্ষা করা:
- নিরাপত্তার অধিকার: ভোক্তাদের নিরাপদ পণ্য ও সেবা পাওয়ার অধিকার রয়েছে।
- তথ্যের অধিকার: ভোক্তাদের পণ্য ও সেবা সম্পর্কে সঠিক তথ্য পাওয়ার অধিকার রয়েছে।
- পছন্দের অধিকার: ভোক্তাদের তাদের পছন্দ অনুযায়ী পণ্য ও সেবা নির্বাচন করার অধিকার রয়েছে।
- ন্যায্য শুনানির অধিকার: ভোক্তাদের তাদের অভিযোগের বিরুদ্ধে ন্যায্য শুনানি পাওয়ার অধিকার রয়েছে।
- ক্ষতিপূরণের অধিকার: ভোক্তাদের তাদের ক্ষতির জন্য ক্ষতিপূরণ পাওয়ার অধিকার রয়েছে।
চাহিদাপত্রের অধীনে ভোক্তারা নিম্নলিখিত সুবিধাগুলি উপভোগ করতে পারেন:
- ভোক্তা আদালতে তাদের অভিযোগ দায়ের করার সুযোগ।
- ভোক্তা হেল্পলাইন থেকে সহায়তা পাওয়ার সুযোগ।
- ভোক্তা শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের সুযোগ।
- ভোক্তা সচেতনতা কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের সুযোগ।
চাহিদাপত্রের অধীনে আবেদন করার জন্য, ভোক্তাদের নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করতে হবে:
- নির্ধারিত আবেদনপত্র পূরণ করুন।
- প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংযুক্ত করুন।
- আবেদনপত্র সংশ্লিষ্ট ভোক্তা আদালতে জমা দিন।
আবেদনপত্র সংগ্রহ করা যাবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট থেকে অথবা সংশ্লিষ্ট ভোক্তা আদালত থেকে।
চাহিদাপত্র ভোক্তাদের অধিকার রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ভোক্তাদের তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন হওয়া এবং চাহিদাপত্রের অধীনে তাদের সুবিধাগুলি সম্পর্কে জানা গুরুত্বপূর্ণ।
0 Comments: