সম্পত্তির দলিল নিবন্ধন: আপনার যা জানা দরকার: বিস্তারিত নির্দেশিকা

দলিল রেজিস্ট্রেশন আইনের, ১৯০৮ এর ধারা ১৭ অনুসারে সম্পদ ক্রয়- বিক্রয়, হস্তান্তর, দান বা ইজারা দেওয়ার উদ্দেশ্যে নিয়ে সম্পত্তি নিবন্ধিন/ হালনাগাত করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সম্পতির দলিলের নিবন্ধনের মাধ্যমে আপনার আইনি সুরক্ষা নিশ্চিত হয়।

সম্পত্তির দলিল নিবন্ধন

দলিল রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়ার পদ্ধতিঃ মনে করুন, ‘করিম’ একখন্ড জমি বা একটি দোকান বা ফ্ল্যাট বা প্লট ‘খলিল’ এর নিকট বিক্রয় করবে। নিবন্ধন আইনের বিধান অনুযায়ী এই বিক্রয়ের দলিল নিবন্ধন করা বাধ্যতামূলক। এক্ষেত্রে ‘করিম’ বিক্রেতা আর ‘খলিল’ হল ক্রেতা। বিশেষত তার স্বার্থেই দলিল প্রস্তুত করা হয়ে থাকে এবং সেটি সংশ্লিষ্ট সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে উপস্থাপনের মাধ্যমে নিবন্ধন করতে হয়। 

দলিল নিবন্ধনের ধাপ-ওয়ারি কার্যক্রম নিম্নে বর্ণিত হলঃ

ধাপ-১ :  সম্পদ বিক্রয় দলিল নিবন্ধনের প্রথম ধাপ হলো ক্রেতার দায়িত্ব হলো হস্তান্তরিত সম্পত্তির স্বত্ব এবং গত ২৫ বৎসরে হস্তান্তরের বিষয় যাচাই বাছাই করা। সম্পত্তির পূর্ববর্তী ধারাবাহিক মালিকানারা অতীত যাচাই করার জন্য ক্রেতার নিকট থেকে সকল বায়া দলিল ও খতিয়ানের কপি চেয়ে নিয়ে দেখতে হবে এবং তা সংশ্লিষ্ট সাব-রেজিস্ট্রি অফিস বা খতিয়ান সংশ্লিষ্ট ভূমি অফিস থেকে মিলেয়ে নিতে হবে। ১ ধাপেই তল্লাশকারক/দলিল (মহুরি) লেখকের সহায়তা নিয়ে উক্ত জমির হস্তান্তর (ক্রয়/ বিক্রয়) সম্পর্কিত তথ্য সাব-রেজিস্ট্রি অফিস থেকে তল্লাশ করে দেখতে হবে।


ধাপ-২ : ১ম ধাপ সম্পন্ন হওয়ার পর হস্তান্তরের দরকারি কাগজ-পত্র সংগ্রহ করতে হবে। যেমন: (ক) বিক্রেতা বা তার পূর্ববর্তীর নামে সর্বশেষ খতিয়ানের কাগজ; (খ) ক্রেতা ও বিক্রেতার পাসপোর্ট আকারের ছবি; (গ) জমিটি সরকারি কোন কর্তৃপক্ষের অধীনস্ত থাকলে সেই উক্ত কর্তৃপক্ষের অনুমতি বা ছাড়পত্র সহ অন্যান্য কাগজ। আপনার এলাকায় রেজিস্ট্রি অফিস এবং ভূমি অফিসে আবেদনের মাধ্যমে উক্ত কাগজ-পত্র সংগ্রহ করা যাবে।

ধাপ-৩ : (ক) সম্পদের দলিলের খসড়া প্রস্তুতকরণ এবং প্রয়োজনীয় সংশোধনের পর খসড়া দৃষ্টে স্ট্যাম্প কাগজে পরিচ্ছন্ন আকারে দলিল আকারে সাজানো। হস্তান্তরিত সম্পত্তির বায়া দলিল ও অন্যান্য কাগজ-পত্র দৃষ্টে দলিলের খসড়া প্রস্তুত করা। বিক্রেতা/দাতা নিকট স্বয়ং বা ক্রেতা কর্তৃক নিয়োজিত আইনজীবী বা দলিল লেখক।

ধাপ-৪ : সম্পদের দলিল নিবন্ধন বাবদ সকল ফি ও শুল্ক, যথা: (ক) রেজিঃ ফি, (খ) স্থনীয় কর, (গ) স্ট্যাম্প শুল্ক; (ঘ) উৎসে কর এবং (ঙ) ভ্যাট ( সম্পদের বিক্রেতা ভূমি বা ভবন উন্নয়নকারী হলে) জমাকরণ। (ক) হতে (ঘ) পে অর্ডারের মাধ্যমে এবং (ঙ) চালানের মাধ্যমে সোনালী ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট শাখায় জমা।


ধাপ-৫ : এই ধাপে যে কাজগুলোর প্রতি খেয়াল রাখতে হবে (ক) সঠিক তথ্যে দলিল সম্পাদন (খ) সম্পাদনের ৩ মাসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে নিবন্ধনের জন্য মূল পে-অর্ডার সহ চালান ও অন্যান্য কাগজ-পত্র সহকারে দলিল দাখিল। (ক) বিক্রেতা কর্তৃক দলিলে স্বাক্ষর বা টিপ প্রদান সম্পাদন; (খ) সাব-রেজিস্ট্রি অফিস।

ধাপ-৬ : সংশ্লিষ্ট সাব-রেজিস্ট্রার কর্তৃক  দলিল সম্পাদনকারী (মুহুরী) এবং তার সনাক্তকারীর পরিচিতি এবং দাখিলকৃত কাগজ-পত্রের বৈধতা যাচাইকরণ।

(ক) পে-অর্ডার, চালানসহ রেজিস্ট্রির জন্য দলিল গ্রহণ; এবং (খ) অন্যথা হলে ভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

(ক) দলিল সম্পাদনকারী (মুহুরী) ও তার সনাক্তকারীর স্বাক্ষর; সরকারি বইয়ে টিপ গ্রহণ এবং দলিল দাখিলকারীকে রসিদ প্রদান; এবং অন্যথা হলে (খ) দলিল নিবন্ধন অগ্রাহ্যের আদেশ প্রদান।

ধাপ-৭ : সম্পদের দলিল নিবন্ধন ও দলিল গৃহীত হলে দলিলের বিপরীতে অফিস কর্তৃক প্রদত্ত রসিদটি ক্রেতা রেখে দিবেন এবং নির্দিষ্ট সময় পর রসিদ দাখিল করে মূল দলিল ফেরত নিবেন।

ধাপ-৮ : সম্পদের দলিল নিবন্ধন অগ্রাহ্য হলে ক্রেতা মূল দলিল এবং দলিল অগ্রাহ্য আদেশের নকল সংগ্রহ করবেন।

ধাপ-৯ : প্রয়োজনে অগ্রাহ্য আদেশ প্রদানের ৩০ দিনের মধ্যে ক্রেতা অগ্রাহ্য আদেশের নকলসহ মূল দলিল জেলা রেজিস্ট্রার বরাবর দাখিল করে আপিল মামলা দায়ের করতে পারবেন। প্রয়োজনে : (১) ক্রেতা কর্তৃক নিয়োজিত আইনজীবী; (২) জেলা রেজিস্ট্রারের অফিস ।

ধাপ-১০ : 
সম্পদের দলিলটি নিবন্ধনের জন্য আদেশ দেয়া হলে, দলিল সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে নিবন্ধিত হবে; অথবা দলিলটি নিবন্ধনের আবেদন আপিলকারী কর্তৃপক্ষ (জেলা রেজিস্ট্রার) কর্তৃক প্রত্যাখাত (বাতিল) হলে ক্রেতা প্রতিকারের নিমিত্ত দেওয়ানি আদালতের আশ্রয় গ্রহণ করতে পারেন। জেলা রেজিস্ট্রার কর্তৃক নিবন্ধন আইনের অধীন তদন্ত বা শুনানি সম্পন্নকরণ।

সম্পত্তির দলিল নিবন্ধন বিষয়ে কিছু কমন প্রশ্ন ও উত্তর:

দলিল নিবন্ধনের জন্য কোন কোন কাগজপত্র প্রয়োজন?

  • উত্তর:
    • দলিলের মূল কপি
    • দলিলের সকল পক্ষের স্বাক্ষরিত ফটোকপি
    • সকল পক্ষের আইডি কার্ডের ফটোকপি
    • দলিলের মূল্য অনুসারে স্ট্যাম্প
    • নিবন্ধন ফি
    • খতিয়ানের ফটোকপি
    • রসিদের ফটোকপি (যদি থাকে)

দলিল নিবন্ধন না করলে কি হবে?

  • উত্তর:
    • দলিল নিবন্ধন না করলে তা আইনিভাবে বৈধ হবে না।
    • দলিল নিবন্ধন না করলে সম্পত্তির মালিকানা প্রমাণ করা কঠিন হবে।
    • দলিল নিবন্ধন না করলে সম্পত্তি বিক্রি বা হস্তান্তর করা যাবে না।
    • দলিল নিবন্ধন না করলে সম্পত্তির উপর ঋণ নেওয়া যাবে না।

দলিল নিবন্ধনের জন্য কোথায় যেতে হবে?

  • উত্তর:
    • যে এলাকায় সম্পত্তি অবস্থিত সেই এলাকার সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে যেতে হবে।

দলিল নিবন্ধন করতে কত টাকা খরচ হবে?

  • উত্তর:
    • দলিলের মূল্য অনুসারে স্ট্যাম্প এবং নিবন্ধন ফি খরচ হবে।
    • সরকারি ওয়েবসাইটে স্ট্যাম্প এবং নিবন্ধন ফির হার সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যাবে।

দলিল নিবন্ধন করতে কত সময় লাগবে?

  • উত্তর:
    • সাধারণত দলিল নিবন্ধন করতে ৭-১০ দিন সময় লাগে।
    • তবে জরুরি ক্ষেত্রে দ্রুত নিবন্ধন করা সম্ভব।

অনলাইনে দলিল নিবন্ধন করা কি সম্ভব?

  • উত্তর:
    • হ্যাঁ, অনলাইনে দলিল নিবন্ধন করা সম্ভব।
    • সরকারের ই-রেজিস্ট্রেশন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনলাইনে দলিল নিবন্ধন করা যাবে।

দলিল নিবন্ধন সম্পর্কে আরও তথ্য কোথায় পাওয়া যাবে?

  • উত্তর:
    • সরকারের ই-রেজিস্ট্রেশন ওয়েবসাইটে দলিল নিবন্ধন সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে।
    • আইনজীবীর সাথে পরামর্শ করেও দলিল নিবন্ধন সম্পর্কে তথ্য নেওয়া যাবে।

দলিল নিবন্ধনের জন্য কোন আইনজীবীর সাহায্য নেওয়া উচিত?

  • উত্তর:
    • দলিল নিবন্ধনের জন্য অবশ্যই আইনজীবীর সাহায্য নেওয়া উচিত নয়।
    • তবে দলিল যদি জটিল হয় তবে আইনজীবীর সাহায্য নেওয়া ভালো।

দলিল নিবন্ধনের জন্য কোন কোন ফি দিতে হয়?

  • উত্তর:
    • নিবন্ধন ফি
    • স্ট্যাম্প ফি
    • সার্চ ফি
    • মিউ


নিবন্ধন না করা দলিল কি বৈধ?

উত্তর: হ্যাঁ, নিবন্ধন না করা দলিলও আইনিভাবে বৈধ। তবে, নিবন্ধিত দলিলের তুলনায় এর প্রয়োগযোগ্যতা কম। নিবন্ধন না থাকলে, দলিলের সত্যতা প্রমাণ করা কঠিন হতে পারে এবং তৃতীয় পক্ষের কাছে এর গ্রহণযোগ্যতাও কম থাকে।

কত টাকা মূল্যের সম্পত্তির দলিল নিবন্ধন করা বাধ্যতামূলক?

উত্তর: বাংলাদেশে, ১০০ টাকা বা তার বেশি মূল্যের সম্পত্তির দলিল নিবন্ধন করা বাধ্যতামূলক।

দলিল নিবন্ধনের জন্য কোথায় যেতে হবে?

উত্তর: যে এলাকায় সম্পত্তি অবস্থিত সেই এলাকার সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে দলিল নিবন্ধনের জন্য যেতে হবে।

দলিল নিবন্ধনের জন্য কত টাকা খরচ হবে?

উত্তর: দলিলের মূল্যের উপর নির্ভর করে নিবন্ধন ফি নির্ধারণ করা হয়। সরকার নির্ধারিত ফি ছাড়াও, আইনজীবীর ফি, স্ট্যাম্প ডিউটি ইত্যাদিও খরচ হতে পারে।

দলিল নিবন্ধনের জন্য কী কী কাগজপত্র লাগবে?

উত্তর:

  • দলিলের মূল কপি
  • দলিলের সকল পক্ষের স্বাক্ষরিত কপি
  • দলিলের মূল্য নির্ধারণের জন্য মূল্যায়ন প্রতিবেদন
  • সরকার নির্ধারিত ফি
  • আইনজীবীর ফি (যদি আইনজীবীর মাধ্যমে নিবন্ধন করা হয়)

অনলাইনে কি দলিল নিবন্ধন করা যায়?

উত্তর: হ্যাঁ, বাংলাদেশে অনলাইনেও দলিল নিবন্ধন করা যায়। https://www.brta.gov.bd/ এই ওয়েবসাইটে গিয়ে অনলাইনে দলিল নিবন্ধনের জন্য আবেদন করা যাবে।

দলিল নিবন্ধনের জন্য কত সময় লাগে?

উত্তর: সকল কাগজপত্র সঠিক থাকলে, দলিল নিবন্ধনের জন্য সাধারণত এক সপ্তাহ থেকে দশ দিন সময় লাগে।

নিবন্ধিত দলিলের খতিয়ানে নাম পরিবর্তন করতে কত সময় লাগে?

উত্তর: খতিয়ানে নাম পরিবর্তন করতে সাধারণত এক মাস থেকে দুই মাস সময় লাগে।

নিবন্ধিত দলিল বাতিল করা যায় কি?

উত্তর: হ্যাঁ, নিবন্ধিত দলিল বাতিল করা যায়। তবে, dafür আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে।

দলিল নিবন্ধন না করলে কী কী সমস্যা হতে পারে?

উত্তর:

  • দলিলের সত্যতা প্রমাণ করা কঠিন হতে পারে।
  • তৃতীয় পক্ষের কাছে দলিলের গ্রহণযোগ্যতা কম থাকে।
  • সম্পত্তির মালিকানা নিয়ে জটিলতা তৈরি হতে পারে।
  • আইনি জটিলতায় জড়িয়ে পড়তে পারেন।

কেন আমার সম্পত্তির দলিল নিবন্ধন করা উচিত?

উত্তর:

  • আইনি সুরক্ষা: নিবন্ধন আপনার মালিকানাধীন সম্পত্তির উপর আইনি সুরক্ষা প্রদান করে।
  • প্রতারণা রোধ: নিবন্ধন সম্পত্তি প্রতারণা রোধে সাহায্য করে।
  • মালিকানা প্রমাণ: নিবন্ধিত দলিল আপনার মালিকানার প্রমাণ হিসেবে কাজ করে।
  • ঋণগ্রহণ: ব্যাংক ঋণের জন্য নিবন্ধিত দলিল প্রয়োজন।
  • সম্পত্তি বিক্রি: নিবন্ধিত দলিল ছাড়া সম্পত্তি বিক্রি করা সম্ভব নয়।

সম্পত্তির দলিল নিবন্ধন করতে কোন কোন কাগজপত্রের প্রয়োজন?

উত্তর:

  • সম্পত্তির দলিলের মূল কপি
  • দলিলের সকল পক্ষের স্বাক্ষরিত ছবি
  • আপনার পরিচয়পত্র (যেমন: ভোটার আইডি, জাতীয় পরিচয়পত্র)
  • আপনার ঠিকানা প্রমাণ (যেমন: বিদ্যুৎ বিল, গ্যাস বিল)
  • সম্পত্তির খতিয়ানের নকল
  • মূল্য নির্ধারণ কর্মকর্তার (ভিডিও) প্রতিবেদন
  • নিবন্ধন ফি

সম্পত্তির দলিল নিবন্ধন করতে কত সময় লাগে?

উত্তর:

সাধারণত, সম্পত্তির দলিল নিবন্ধন করতে ৭-১৫ দিন সময় লাগে। তবে, কিছু ক্ষেত্রে এটি আরও বেশি সময় নিতে পারে।

সম্পত্তির দলিল নিবন্ধন করতে কত টাকা খরচ হয়?

উত্তর:

সম্পত্তির দলিল নিবন্ধন করতে লাগা খরচ নির্ভর করে সম্পত্তির মূল্যের উপর। মূল্য যত বেশি, নিবন্ধন ফি তত বেশি।

অনলাইনে কি সম্পত্তির দলিল নিবন্ধন করা সম্ভব?

উত্তর:

হ্যাঁ, অনলাইনে সম্পত্তির দলিল নিবন্ধন করা সম্ভব। বাংলাদেশ সরকারের "আই-রেজিস্ট্রেশন" পোর্টালের মাধ্যমে অনলাইনে দলিল নিবন্ধন করা যায়।

সম্পত্তির দলিল নিবন্ধন করার জন্য কোথায় যেতে হবে?

উত্তর:

আপনার স্থানীয় সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে গিয়ে সম্পত্তির দলিল নিবন্ধন করতে পারবেন।

সম্পত্তির দলিল নিবন্ধন করার জন্য কি আইনজীবীর প্রয়োজন?

উত্তর:

না, সম্পত্তির দলিল নিবন্ধন করার জন্য আইনজীবীর প্রয়োজন নেই। তবে, আপনি যদি চান, একজন আইনজীবীর সাহায্য নিতে পারেন।

নিবন্ধন ছাড়া সম্পত্তির দলিল কি বৈধ?

উত্তর:

না, নিবন্ধন ছাড়া সম্পত্তির দলিল বৈধ নয়।

0 Comments:

BDFile Telegram channel
BDFile Telegram channel