বাংলাদেশের আইনে নারী ও শিশুদের বিশেষ সুরক্ষা প্রদানের জন্য বেশ কিছু বিধান রয়েছে। এর মধ্যে একটি হলো জামিনযোগ্য অপরাধের ক্ষেত্রে নারী ও শিশুদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা।
নারীদের ক্ষেত্রে:
- দণ্ডবিধির ৩৭৬ ধারা অনুযায়ী, ধর্ষণের শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা মৃত্যুদণ্ড। এই অপরাধ জামিন অযোগ্য।
- নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ অনুযায়ী, নারী ও শিশুদের উপর নির্যাতনের বিভিন্ন ধারা রয়েছে। এই আইনের অধীনে কিছু অপরাধ জামিনযোগ্য, আবার কিছু অপরাধ জামিন অযোগ্য।
- গার্হস্থ্য সহিংসতা (প্রতিরোধ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১০ অনুযায়ী, গার্হস্থ্য সহিংসতার বিভিন্ন ধারা রয়েছে। এই আইনের অধীনে কিছু অপরাধ জামিনযোগ্য, আবার কিছু অপরাধ জামিন অযোগ্য।
শিশুদের ক্ষেত্রে:
- শিশু আইন, ২০১৩ অনুযায়ী, শিশুদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিভিন্ন ধারা রয়েছে। এই আইনের অধীনে কিছু অপরাধ জামিনযোগ্য, আবার কিছু অপরাধ জামিন অযোগ্য।
- শিশুদের যৌন নির্যাতন দমন আইন, ২০১৩ অনুযায়ী, শিশুদের উপর যৌন নির্যাতনের বিভিন্ন ধারা রয়েছে। এই আইনের অধীনে সকল অপরাধ জামিন অযোগ্য।
জামিনযোগ্য অপরাধের ক্ষেত্রে:
- যদি অভিযোগে আনা অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি ৭ বছরের কারাদণ্ডের কম হয়, তাহলে সেই অপরাধ জামিনযোগ্য।
- তবে, যদি অভিযোগে আনা অপরাধ নারী বা শিশুর বিরুদ্ধে হয়, তাহলে সেই অপরাধ জামিনযোগ্য হলেও আদালত জামিন মঞ্জুর করার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকবে।
- আদালত জামিন মঞ্জুর করার সময় নিম্নলিখিত বিষয়গুলি বিবেচনা করবে:
- অভিযোগের গুরুত্ব
- অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রমাণের যথার্থতা
- অভিযুক্ত ব্যক্তির পূর্ববর্তী অপরাধের ইতিহাস
- অভিযুক্ত ব্যক্তি জামিনে মুক্তি পেলে পুনরায় অপরাধ করার সম্ভাবনা
- অভিযুক্ত ব্যক্তি জামিনে মুক্তি পেলে সাক্ষীদের প্রভাবিত করার সম্ভাবনা
- নারী বা শিশুর নিরাপত্তা
উল্লেখ্য যে, আইনের বিষয়টি বেশ জটিল এবং এ বিষয়ে একজন আইনজীবীর সাথে পরামর্শ করা সবচেয়ে ভালো।
0 Comments: