জামিনযোগ্য অপরাধে গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তির বিদেশ ভ্রমণের বিষয়টি বেশ জটিল। এটি নির্ভর করে বিভিন্ন বিষয়ের উপর, যেমন অপরাধের ধরণ, গ্রেপ্তারের সময়কাল, জামিনের শর্তাবলী, এবং ভ্রমণের উদ্দেশ্য।
জামিনযোগ্য অপরাধ:
বাংলাদেশের দণ্ডবিধির ৪৬৭ ধারা অনুসারে, যেসব অপরাধে দুই বছরের কম কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে, সেগুলো জামিনযোগ্য অপরাধ। কিছু সাধারণ জামিনযোগ্য অপরাধের মধ্যে রয়েছে:
- চুরি
- মারধর
- মানহানি
- ভয় দেখানো
- সম্পত্তির ক্ষতি
গ্রেপ্তারের পর বিদেশ ভ্রমণ:
জামিনযোগ্য অপরাধে গ্রেপ্তার হওয়ার পর বিদেশ ভ্রমণ করা সম্ভব, তবে কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে।
- জামিন: গ্রেপ্তারের পর আদালত থেকে জামিন নিতে হবে। জামিনের শর্তাবলীতে বিদেশ ভ্রমণের উপর নিষেধাজ্ঞা থাকতে পারে।
- অনুমতি: আদালতের অনুমতি ছাড়া জামিনযোগ্য অপরাধে গ্রেপ্তার ব্যক্তি বিদেশ ভ্রমণ করতে পারবে না।
- অপরাধের গুরুত্ব: অপরাধের গুরুত্বের উপর নির্ভর করে আদালত ভ্রমণের অনুমতি দিতে পারে।
- ভ্রমণের উদ্দেশ্য: ভ্রমণের উদ্দেশ্য যদি বৈধ হয়, তাহলে আদালত ভ্রমণের অনুমতি দিতে পারে।
কিছু টিপস:
- জামিনের আবেদনের সময় আইনজীবীর সাথে পরামর্শ করা উচিত।
- আদালতের কাছে ভ্রমণের অনুমতির জন্য আবেদন করার সময় ভ্রমণের উদ্দেশ্য স্পষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে।
- ভ্রমণের অনুমতি পেলেও, আদালতের নির্ধারিত শর্তাবলী মেনে চলতে হবে।
উপসংহার:
জামিনযোগ্য অপরাধে গ্রেপ্তার হওয়ার পর বিদেশ ভ্রমণ করা সম্ভব, তবে কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে। আইনজীবীর সাথে পরামর্শ করে এবং আদালতের নির্ধারিত শর্তাবলী মেনে চলে ভ্রমণের অনুমতি পাওয়া সম্ভব।
0 Comments: