জামিনযোগ্য অপরাধে গ্রেপ্তার হলে কি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা সম্ভব?

বাংলাদেশের সংবিধান অনুসারে, একজন ব্যক্তি জামিনযোগ্য অপরাধে গ্রেপ্তার হলেও নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার যোগ্যতা রাখে। তবে, কিছু নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে, এই যোগ্যতা সীমাবদ্ধ হতে পারে।

জামিনযোগ্য অপরাধে গ্রেপ্তার হলে কি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা সম্ভব?

আইনি বিধান:

বাংলাদেশের সংবিধানের 126(2) অনুচ্ছেদ অনুসারে, একজন ব্যক্তি নিম্নলিখিত কারণে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে অযোগ্য হবে:

  • যদি সে দুর্নীতির অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়
  • যদি সে মানসিকভাবে অসুস্থ হয়
  • যদি সে দেউলিয়া হয়
  • যদি সে অন্য কোন দেশের নাগরিক হয়

এই তালিকাটি সম্পূর্ণ নয় এবং সংসদ আইনের মাধ্যমে এতে পরিবর্তন আনতে পারে।

জামিনযোগ্য অপরাধ:

বাংলাদেশের দণ্ডবিধির 437 ধারা অনুসারে, যেসব অপরাধের শাস্তি 10 বছরের কারাদণ্ডের কম, সেগুলো জামিনযোগ্য অপরাধ।

জামিনযোগ্য অপরাধে গ্রেপ্তার হলে নির্বাচনে অংশগ্রহণের যোগ্যতা:

যদি একজন ব্যক্তি জামিনযোগ্য অপরাধে গ্রেপ্তার হয়, তবে সে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার যোগ্যতা হারাবে না। তবে, নিম্নলিখিত পরিস্থিতিতে তার যোগ্যতা সীমাবদ্ধ হতে পারে:

  • যদি সে জামিন না পায় এবং নির্বাচনের সময় পর্যন্ত কারাগারে থাকে
  • যদি তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয় এবং শাস্তি দেওয়া হয়

উদাহরণ:

ধরুন, একজন ব্যক্তিকে চুরির অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। চুরি একটি জামিনযোগ্য অপরাধ। যদি সে জামিন পায়, তবে সে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে। তবে, যদি সে জামিন না পায় এবং নির্বাচনের সময় পর্যন্ত কারাগারে থাকে, তবে সে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না।


জামিনযোগ্য অপরাধে গ্রেপ্তার হলে একজন ব্যক্তি সাধারণত নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার যোগ্যতা হারায় না। তবে, কিছু নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে, এই যোগ্যতা সীমাবদ্ধ হতে পারে।

0 Comments:

BDFile Telegram channel
BDFile Telegram channel