সাফ কবলা রেজিস্ট্রেশন সরকারি ফি কত ?

 বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে, সম্পত্তির ধরন, অবস্থান এবং লেনদেনের নির্দিষ্ট পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে সরকারের কাছে একটি দলিল নিবন্ধনের সাথে সম্পর্কিত খরচ পরিবর্তিত হতে পারে। এখানে বাংলাদেশে একটি দলিল নিবন্ধনের সাথে সম্পর্কিত কিছু খরচের একটি সাধারণ ধারণা রয়েছে:

সরকারি রেজিস্ট্রেশন ফি

স্ট্যাম্প ডিউটি: স্ট্যাম্প ডিউটি হল একটি ট্যাক্স যা নিবন্ধনের সময় বৈধ নথি, যেমন বিক্রয় দলিলের উপর আরোপ করা হয়। স্ট্যাম্প শুল্কের হার সম্পত্তির মূল্য, অবস্থান এবং অন্যান্য কারণের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হয় এবং এটি সাধারণত স্ট্যাম্প পেপার আকারে সংগ্রহ করা হয়।


  • নিবন্ধন ফি: বিক্রয় দলিল নিবন্ধন করার জন্য সরকার কর্তৃক একটি নিবন্ধন ফি নেওয়া হয় এবং এই ফি সাধারণত সম্পত্তির মূল্যের শতাংশ।

  • জরিপ এবং মিউটেশন ফি: কিছু ক্ষেত্রে, জমির পরিমাপ নিশ্চিত করতে একটি জরিপ ফি প্রয়োজন এবং মিউটেশন ফি নতুন মালিকের নামে জমি নিবন্ধন করতে হয়।

  • আইনি ফি: কিছু লোক আইনি প্রক্রিয়ায় সাহায্য করার জন্য একজন আইনজীবী নিয়োগ করতে পারে এবং এই ফিগুলি আইনজীবী এবং লেনদেনের নির্দিষ্ট পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে।

  • ডকুমেন্টেশন ফি: নথিগুলি প্রস্তুত, নোটারাইজ করা এবং প্রমাণীকরণের জন্য অতিরিক্ত ডকুমেন্টেশন ফি থাকতে পারে।


এটা মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে এই খরচগুলি লেনদেনের নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে এবং অবস্থানের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে এবং এটি নিয়ম ও প্রবিধানের উপর ভিত্তি করে পরিবর্তন সাপেক্ষে। বাংলাদেশে একটি দলিল নিবন্ধনের সাথে সম্পর্কিত খরচ সম্পর্কে সবচেয়ে সঠিক এবং বর্তমান তথ্য পেতে স্থানীয় ভূমি অফিস বা আইন পেশাদারের সাথে চেক করার পরামর্শ দেওয়া হয়।


১। রেজিস্ট্রেশন ফিঃ হস্তান্তরিত সম্পত্তির দলিলে লিখিত মোট মূল্যের ২% টাকা। দলিলের মূল্য ২৪,০০০ টাকা বা তার কম হলে নগদ অর্থে এবং ২৪,০০০ টাকার বেশি হলে পে-অর্ডারের মাধ্যমে স্থানীয় সোনালী ব্যাংক লিঃ এ, কোড নং ১৪২২২০১ তে জমা করতে হবে (পুরাতন কোড ১৮২৬)। 


২। স্টাম্প শুল্কঃ হস্তান্তরিত সম্পত্তির দলিলে লিখিত মোট মূল্যের ৩% টাকা। দলিলে সর্বোচ্চ ১২০০ টাকার নন-জুডিসিয়াল স্টাম্প ব্যবহার করা যাবে। স্টাম্প খাতের বাকি অর্থ পে-অর্ডারের মাধ্যমে স্থানীয় সোনালী ব্যাংক লিঃ এ কোড নং  ১১৬২১০২ তে জমা করতে হবে। 


৩। স্থানীয় সরকার করঃ  সম্পত্তির দলিলে লিখিত মোট মূল্যের ৩% টাকা। স্থানীয় সোনালী ব্যাংক লিমিটেড এ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের হিসাব নম্বরে পে-অর্ডারের মাধ্যমে জমা করতে হবে। 


৪। উৎস কর (53H):

ক) জেলা সদরের পৌরসভা ব্যতীত অন্যান্য পৌরসভার ক্ষেত্রে দলিল মূল্যের উপর ২% টাকা।    

খ) অন্যান্য এলাকার জন্য দলিল মূল্যের উপর ১% টাকা। 


৫। অন্যান্য ফিসসমূহঃ

ক) ২০০ টাকার স্টাম্পে হলফনামা।     খ) ই ফিঃ- ১০০ টাকা।     গ) এন ফিঃ-          

(i) বাংলায় প্রতি ৩০০ (তিন শত) শব্দ বিশিষ্ট এক পৃষ্ঠা বা উহার অংশ বিশেষের জন্য ১৬ টাকা। 

(ii) ইংরেজি ভাষায় প্রতি ৩০০ (তিন শত) শব্দ বিশিষ্ট এক পৃষ্ঠা বা উহার অংশ বিশেষের জন্য ২৪ টাকা।     


ঘ) এনএন ফি (নকলনবিশগনের পারিশ্রমিক) -

(i) বাংলায় প্রতি ৩০০ (তিনশত) শব্দ বিশিষ্ট এক পৃষ্ঠা বা উহার অংশ বিশেষের জন্য ২৪ টাকা।

(ii) ইংরেজি ভাষায় প্রতি ৩০০ (তিনশত) শব্দ বিশিষ্ট এক পৃষ্ঠা বা উহার অংশ বিশেষের জন্য ৩৬ টাকা। 


ঙ) সম্পত্তি হস্তান্তর নোটিশের আবেদনপত্রে ১০ টাকা মূল্যের কোর্ট ফি। মন্তব্যঃ-১। এন ফি ও ই ফি, রেজিস্ট্রেশন ফি এর সাথে পে-অর্ডারের মাধ্যমে কোড নং ১৪২২২০১ তে জমা করতে হবে।২। এনএন ফি নগদে রেজিস্ট্রি অফিসে জমা করতে হবে। ব্যবহারকারীদের সুবিধার্তে নিম্নে দুটি উদাহরণ দেয়া হলোঃ উদাহরণ- ০১ধরা যাক, মাগুরা সদর  মাগুরা মৌজায় ১০ শতক জমি বিক্রয় হবে যার মূল্য ৫০০০০০০ টাকা। 

উক্ত জমি রেজিস্ট্রি খরচ হবে নিম্নরূপঃ

১। রেজিস্ট্রেশন ফিঃ ৩০০০০০ এর ২% = ৬০০০ টাকা।

২। স্ট্যাম্প শুল্কঃ ৩০০০০০ এর ৩% = ৯০০০০ টাকা।

৩। স্থানীয় সরকার করঃ ৩০০০০০ এর ৩% = ৯০০০০ টাকা।

৪। উৎসে করঃ ৩০০০০০ এর ১% = ৩০০০ টাকা।


৫। ক) হলফনামা স্ট্যাম্পঃ ২০০ টাকা। 

খ) ই ফিঃ ১০০ টাকা। 

গ) এন ফিঃ ১৬০ টাকা। 

ঘ) এনএন ফিঃ ২৪০ টাকা। 

ঙ) কোর্ট ফিঃ ১০ টাকা। 


উদাহরণ- ০২ধরা যাক, মাগুরা সদর  মাগুরা মৌজায় ১০ শতক জমি বিক্রয় হবে যার মূল্য ৫০০০০০০ টাকা।  উক্ত জমি রেজিস্ট্রি খরচ হবে নিম্নরূপঃ

১। রেজিস্ট্রেশন ফিঃ ৯০০০০০ এর ২% = ১৮০০০ টাকা।

২। স্ট্যাম্প শুল্কঃ ৩০০০০০ এর ৩% = ২৭০০০০ টাকা।৩। স্থানীয় সরকার করঃ ৩০০০০০ এর ৩% = ২৭০০০০ টাকা।

৪। উৎসে করঃ ৩০০০০০ এর ২% = ১৮০০০ টাকা। (পৌরসভাস্থ জমি ২%)


৫। ক) হলফনামা স্ট্যাম্পঃ ২০০ টাকা। 

খ) ই ফিঃ ১০০ টাকা। 

গ) এন ফিঃ ১৬০ টাকা। 

ঘ) এনএন ফিঃ ২৪০ টাকা। ঙ) কোর্ট ফিঃ ১০ টাকা। ছবি


সংযুক্তি :-


সাফ কবলা রেজিস্ট্রেশন সরকারি ফি সংক্রান্ত কিছু প্রশ্ন ও উত্তর

সাফ কবলা রেজিস্ট্রেশন করতে কত দিন সময় লাগে?

উত্তর: সাধারণত, সাফ কবলা রেজিস্ট্রেশন করতে ৭-১০ দিন সময় লাগে। তবে, জরুরি ক্ষেত্রে আবেদন করে দ্রুত রেজিস্ট্রেশন করা সম্ভব।

অনলাইনে কি সাফ কবলা রেজিস্ট্রেশন করা যায়?

উত্তর: হ্যাঁ, অনলাইনেও সাফ কবলা রেজিস্ট্রেশন করা সম্ভব। বাংলাদেশ সরকারের "আই-রেজিস্ট্রেশন" পোর্টালের মাধ্যমে অনলাইনে আবেদন করা যায়।

সাফ কবলা রেজিস্ট্রেশনের জন্য কোন কোন কাগজপত্র প্রয়োজন?

উত্তর: সাফ কবলা রেজিস্ট্রেশনের জন্য নিম্নলিখিত কাগজপত্র প্রয়োজন:

  • মূল সাফ কবলা
  • বিক্রেতা ও ক্রেতার জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি
  • বিক্রেতা ও ক্রেতার সাম্প্রতিক ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি
  • সম্পত্তির মালিকানার প্রমাণপত্র
  • স্থানীয় কর কর্তৃপক্ষের কর পরিশোধের সনদ
  • অন্যান্য প্রাসঙ্গিক কাগজপত্র (যদি থাকে)

সাফ কবলা রেজিস্ট্রেশন না করলে কী কী সমস্যা হতে পারে?

উত্তর: সাফ কবলা রেজিস্ট্রেশন না করলে নিম্নলিখিত সমস্যাগুলো হতে পারে:

  • সম্পত্তির মালিকানা প্রমাণ করা কঠিন হতে পারে।
  • সম্পত্তি বিক্রি বা হস্তান্তর করা কঠিন হতে পারে।
  • আইনি জটিলতা দেখা দিতে পারে।

সাফ কবলা রেজিস্ট্রেশন করার জন্য কোথায় যেতে হবে?

উত্তর: সাফ কবলা রেজিস্ট্রেশন করার জন্য আপনার এলাকার সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে যেতে হবে।

সাফ কবলা রেজিস্ট্রেশন করার জন্য কত টাকা খরচ হয়?

উত্তর: সাফ কবলা রেজিস্ট্রেশন করার জন্য নির্দিষ্ট কোনো খরচ নেই। খরচ নির্ভর করে সম্পত্তির মূল্যের উপর।

সাফ কবলার রেজিস্ট্রেশন ফি কত?

উত্তর:

  • রেজিস্ট্রেশন ফি: দলিলের মূল্যের ১%
  • স্থানীয় সরকার কর:
    • সিটি কর্পোরেশন/ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড: ২%
    • অন্যান্য ক্ষেত্রে: ৩%
  • উৎসে আয়কর (53H):
    • ৪% থেকে ৮% (দলিলের মূল্যের উপর নির্ভর করে)
  • হলফনামা: ৩০০ টাকা
  • ই-ফি: ১৩০ টাকা

অনলাইনে সাফ কবলা রেজিস্ট্রেশন করার ফি কত?

উত্তর:

  • রেজিস্ট্রেশন ফি: ১%
  • সার্ভিস চার্জ: ০.৫% (সর্বোচ্চ ১০,০০০ টাকা)
  • স্থানীয় সরকার কর:
    • সিটি কর্পোরেশন/ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড: ২%
    • অন্যান্য ক্ষেত্রে: ৩%
  • উৎসে আয়কর (53H):
    • ৪% থেকে ৮% (দলিলের মূল্যের উপর নির্ভর করে)
  • হলফনামা: ৩০০ টাকা

সাফ কবলা রেজিস্ট্রেশন করার জন্য কোন কোন কাগজপত্র প্রয়োজন?

উত্তর:

  • সম্পত্তির মালিকানার দলিল
  • মূল্য নির্ধারণ সনদ
  • আবেদনকারীর ও ক্রেতার জাতীয় পরিচয়পত্র
  • আবেদনকারীর ও ক্রেতার ছবি
  • হলফনামা
  • অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)

সাফ কবলা রেজিস্ট্রেশন করার জন্য কত সময় লাগে?

উত্তর:

  • সাধারণ পদ্ধতিতে: ৭-১০ দিন
  • অনলাইনে: ৩-৫ দিন

সাফ কবলা রেজিস্ট্রেশন না করলে কী কী অসুবিধা হতে পারে?

উত্তর:

  • সম্পত্তির মালিকানা আইনিভাবে সুরক্ষিত হবে না
  • ভবিষ্যতে সম্পত্তি বিক্রি বা হস্তান্তর করতে সমস্যা হবে
  • আইনি জটিলতায় জড়িয়ে পড়তে পারেন

সাফ কবলা রেজিস্ট্রেশন সম্পর্কে আরও তথ্য কোথায় পাবো?

উত্তর:

  • বাংলাদেশ সরকারের আইন ও সালিশ কেন্দ্রের ওয়েবসাইট: [ভুল URL সরানো হয়েছে]
  • বাংলাদেশ রেজিস্ট্রার অফ ডেডসের ওয়েবসাইট: [ভুল URL সরানো হয়েছে]
  • আইনজীবীর সাথে পরামর্শ

সাফ কবলা রেজিস্ট্রেশন না করলে কি হবে?

উত্তর: সাফ কবলা রেজিস্ট্রেশন না করলে সম্পত্তির আইনি মালিকানা প্রমাণ করা কঠিন হতে পারে। এছাড়াও, ভবিষ্যতে সম্পত্তি বিক্রি বা হস্তান্তর করতে সমস্যা হতে পারে।

সাফ কবলা রেজিস্ট্রেশন করার জন্য কত সময় লাগে?

উত্তর: সাধারণত, সাফ কবলা রেজিস্ট্রেশন করতে ৭-১০ দিন সময় লাগে। তবে, জরুরি ক্ষেত্রে দ্রুত রেজিস্ট্রেশন করা সম্ভব।

সাফ কবলা রেজিস্ট্রেশনের জন্য কোন কোন কাগজপত্র প্রয়োজন?

উত্তর: সাফ কবলা রেজিস্ট্রেশনের জন্য নিম্নলিখিত কাগজপত্র প্রয়োজন:

  • মূল সাফ কবলা
  • বিক্রেতা ও ক্রেতার জাতীয় পরিচয়পত্র
  • সম্পত্তির মালিকানা প্রমাণপত্র
  • স্থানীয় সরকার কর (সিটি কর্পোরেশন/পৌরসভা) কর প্রদানের সনদ
  • নোটারি পাবলিক কর্তৃক স্বাক্ষরিত হলফনামা
  • রেজিস্ট্রেশন ফি

সাফ কবলা রেজিস্ট্রেশনের জন্য অনলাইনে আবেদন করা যায়?

উত্তর: হ্যাঁ, অনলাইনে আবেদন করে সাফ কবলা রেজিস্ট্রেশন করা সম্ভব। বাংলাদেশ সরকারের আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) এর ওয়েবসাইট মাধ্যমে অনলাইনে আবেদন করা যায়।

সাফ কবলা রেজিস্ট্রেশনের জন্য কত টাকা খরচ হয়?

উত্তর: সাফ কবলা রেজিস্ট্রেশনের জন্য খরচ নির্ভর করে সম্পত্তির মূল্যের উপর। রেজিস্ট্রেশন ফি, স্ট্যাম্প শুল্ক, স্থানীয় সরকার কর এবং উৎসে আয়কর (TDS) এই খরচের অন্তর্ভুক্ত।

সাফ কবলা রেজিস্ট্রেশনের জন্য কোথায় যেতে হয়?

উত্তর: সাফ কবলা রেজিস্ট্রেশনের জন্য যে এলাকায় সম্পত্তি অবস্থিত সেই এলাকার সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে যেতে হয়।


দ্রষ্টব্য: এই তথ্যগুলো শুধুমাত্র সাধারণ জ্ঞানের জন্য। আইনি পরামর্শের জন্য একজন আইনজীবীর সাথে যোগাযোগ করা উচিত।

0 Comments:

BDFile Telegram channel
BDFile Telegram channel